এই শহর প্রতিদিনই জেগে ওঠে
একটা হর্ন, একটা শিশুর কান্না,
একটা খবরের কাগজের শিরোনামে—
যেখানে কেউ মরে, কেউ বাঁচে
আর কেউ বোঝে না, কেন বাঁচে।
আমি হাঁটি ফুটপাথ ধরে—
ভিক্ষুকের হাত, চা-ওয়ালার ধোঁয়া,
আর দেয়ালে আঁকা “চাই ন্যায্য বেতন”
আমাকে চমকে দেয় না আর,
তবু ভিতরে কোথাও কেঁপে ওঠে
একটা ন্যায্য জীবনের আকাঙ্ক্ষা।
এই শহরে এখনও সন্ধ্যা নামে,
ছেলেমেয়েরা খেলে মাঠে,
তারা জানে না, কতোটা হেরে গেছি আমরা—
তবু তাদের হাসিতে
আমি কিছুটা জিতে যাই প্রতিদিন।
কখনও কখনও মনে হয়—
এই জনপদ একদিন আলোতে ভরে যাবে,
না থাকবে শোষণ, না ভয়ের কারাগার,
তখন আমি কবিতার মতো দাঁড়িয়ে থাকব—
এই শহরের বুকের ওপর,
নীরব কিন্তু দৃঢ়।
Leave a Reply