বিশেষ প্রতিনিধি:
🔶 বাজেট ঘোষণার আগে সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ, সুরক্ষা ও চিকিৎসা খাতে আলাদা বরাদ্দ চাইলেন আহমেদ আবু জাফর।
🔶 “সাংবাদিকতা পেশা নয়, এটা রাষ্ট্র রক্ষার একটি শক্তি”—বাজেটের মধ্যে সেই স্বীকৃতি চান বিএমএসএফ চেয়ারম্যান।
🔶 সাংবাদিকদের জন্য ৮ বিভাগে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব।
🔶 সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধে দ্রুত বিচার সেল ও সুরক্ষা তহবিল গঠনের আহ্বান।
🔶 সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য বীমা এবং সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকারভিত্তিক চিকিৎসা সুবিধা চেয়েছেন আহমেদ আবু জাফর।
🔶 ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৬৯ গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে
সাংবাদিকদের অবদান ইতিহাসের অংশ, বাজেটে তার প্রতিফলন থাকা উচিত।
🔶 “গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে সাংবাদিকদের রক্ষা করতেই হবে”—বাজেট আলোচনায় রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান।
আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার প্রাক্কালে সাংবাদিকদের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কমিটির সভাপতি আহমেদ আবু জাফর।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের প্রতিটি সংকটে সাংবাদিকরা সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনেও সাংবাদিকদের অবদান অনস্বীকার্য। অথচ রাষ্ট্রীয় বাজেটে সাংবাদিকদের সুরক্ষা, প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসার বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান বরাদ্দ নেই—এটা দুর্ভাগ্যজনক।”
তিনি বাজেটে তিনটি খাতে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান:
১. প্রশিক্ষণ: জেলা-উপজেলায় সাংবাদিকদের জন্য বিভাগ ভিত্তিক আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও নিয়মিত ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা।
২. সুরক্ষা: সাংবাদিক নির্যাতন রোধে আইন প্রণয়ন করে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় বিশেষ সেল গঠন এবং সাংবাদিক সুরক্ষা তহবিল চালু।
৩. চিকিৎসা: সাংবাদিকদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু এবং সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বা সাশ্রয়ী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ।
আহমেদ আবু জাফর বলেন, “সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রায়শই হামলা, মামলা ও হুমকির মুখে পড়েন। বাজেটে এসব ঝুঁকি মোকাবেলার বাস্তব উদ্যোগ থাকতে হবে।”
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিএমএসএফের মাধ্যমে বিশেষ করে তিনি মফস্বল সাংবাদিকদের অধিকার, মর্যাদা ও পেশাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে সাংবাদিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে—আর তার প্রথম শর্ত হলো রাষ্ট্রীয় বাজেটে সাংবাদিকবান্ধব বরাদ্দ নিশ্চিত করা।”
Leave a Reply