1. lifemedia766@gmail.com : admin : Badsah Deoan
  2. aglovelu99@gmail.com : Ag Lovelu : Ag Lovelu
  3. infocrime24@gmail.com : info crime24 : info crime24
  4. crimereport24@gmail.com : Crime Report : Crime Report
  5. mehedyhasan321m@gmail.com : Mehedy Hasan : Mehedy Hasan
  6. musasirajofficial@gmail.com : Musa Asari : Musa Asari
  7. crime7775@gmail.com : Ariful Islam : Ariful Islam
  8. nurealomsah@gmail.com : Nure Alom Sah : Nure Alom Sah
পেঁয়াজ সিন্ডিকেট: আমদানির পাঁয়তারা - Crime Report 24
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে লোগাংয়ে অসহায়দের মাঝে বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের প্রস্তুতি সভা ভালুকায় মানবাধিকার ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় গুনিজন সম্মাননায় ভূষিত মোঃ আমির আলী ফকির। পলাশবাড়ির নিজ বাড়িতে পৌঁছেছে শান্তি মিশনে শহীদ সবুজ মিয়ার মরদেহ : দাফন সম্পন্ন রংপুর সদর আসনে জি.এম কাদেরের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ গাজীপুর-১ আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীর সাথে কালিয়াকৈর মৎস্য আড়তদার ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় খাগড়াছড়িতে ইট সংকট: বন্ধ ইটভাটা চালুর দাবিতে সড়ক অবরোধ, জনভোগান্তি খাগড়াছড়িতে ৪০ জন অসহায় মানুষের পাশে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ শুভ উদ্বোধন ত্রিশালে আন্তঃ জেলা অটোরিক্সা চোর চক্রের ৯ মামলার আসামীসহ ৩ সদস্য গ্রেফতার মুরাদনগরে স্বপ্নতরী সামাজিক উন্নয়ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ।

পেঁয়াজ সিন্ডিকেট: আমদানির পাঁয়তারা

  • প্রকাশকাল: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
 সম্পাদকীয়
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ বাদশাহ দেওয়ান
একদল ব্যক্তি বা কম্পানি সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে পরস্পরের স্বার্থ সুরক্ষায় একত্রে কাজ করে সিন্ডিকেট তৈরি করে। ব্যবসায়ীদের অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে এ দেশের জনসাধারণ নিত্যপণ্য ক্রয়ে উচ্চমূল্যের শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন পণ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের রয়েছে আলাদা সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেশনের ফলে নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে জনসাধারণ উচ্চমূল্যের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে।
একদল ব্যক্তি বা কম্পানি সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে পরস্পরের স্বার্থ সুরক্ষায় একত্রে কাজ করে সিন্ডিকেট তৈরি করে। ব্যবসায়ীদের অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে এ দেশের জনসাধারণ নিত্যপণ্য ক্রয়ে উচ্চমূল্যের শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন পণ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের রয়েছে আলাদা সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেশনের ফলে নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে জনসাধারণ উচ্চমূল্যের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে।
‘কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে পেঁয়াজ আমদানির পাঁয়তারা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশে পেঁয়াজের ভরা মৌসুমের মধ্যেই হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেছে।মাত্র তিন-চার দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। আগামী দিনে দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ উঠেছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পাঁয়তারা করছেন কিছু আমদানিকারক।
তাঁরাই সিন্ডিকেট করে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন। অন্যদিকে পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে দাম বাড়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছে সাধারণ ক্রেতারা। গত বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়তে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ করেই পাইকারিতে দাম বেড়ে গেছে।
ঢাকায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আসে ফরিদপুর থেকে। ফরিদপুরে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আনিস বলেন, ‘দাম বাড়ার পেছনে খুচরা বিক্রেতাদের কোনো হাত নেই। পাইকারি বাজার থেকে যে দামে কিনি, সেই অনুযায়ী বিক্রি করি।’ আড়তদারদের ভাষ্য, এবার মুড়ি কাটা পেঁয়াজে কৃষকরা দাম না পেয়ে লোকসান গুনেছেন।
ফলে তাঁরা হালি পেঁয়াজ সব বাজারে না ছেড়ে মজুদের দিকে ঝুঁকছেন। এতে সরবরাহ কমে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে আড়ত, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে। এদিকে পেঁয়াজের উৎপাদন মৌসুমে ন্যায্য দাম পাননি কৃষকরা। এখন তাঁদের হাতে তেমন পেঁয়াজ নেই, মজুদদারদের হাতে চলে গেছে পেঁয়াজ। এই সুযোগে সিন্ডিকেট করে তাঁরা দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছেন বলে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
পেঁয়াজের আকস্মিক দাম বাড়ার বিষয়ে কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি ব্যবসায়ীদের নেতিবাচক ব্যবসা চর্চার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার এবং এই খাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজির অংশ। আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসতে বিলম্ব হলেই এখানে দাম বেড়ে যেত। এখন পেঁয়াজের আড়তদার, কমিশন এজেন্ট, দাদন ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কিনে মজুদ করে রাখছেন।
সে কারণে দাম বেড়েছে। অন্যদিকে পেঁয়াজের বাজারে কোনো তদারকি হয় না। ভোক্তা অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসন এখানে কোনো তদারকি করে না।’

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, ‘আমাদের ভোক্তা অধিকার বলি আর কম্পিটিশন কমিশন বলি, খুবই রিয়্যাক্টিভ। কিছু একটা হলো, তখন তারা যায় অভিযানে।

কিন্তু বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক এবং সার্বক্ষণিক নজরদারির একটা ব্যাপার আছে।’ আসলে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের কোনো সংস্থাই তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরণের অন্যান্য নিউজ