পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি :
সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি বাজারে সকাল থেকে গভীর রাত অবধি চলছে নারিকেল বিক্রির ধুম। পূজায় অতিথি আপ্যায়নে প্রধান মুখরোচক খাবার হচ্ছে নারিকেলের নাড়ু। এছাড়া নারিকেল দিয়ে পায়েস সহ তৈরি করা হয় নানা স্বাদের খাবার। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কদর বাড়ছে নারিকেলের। দরদাম কষাকষির পাশাপাশি পুজার নারিকেল কেনার জন্য ছুটাছুটি করছে ক্রেতারা এ দোকান থেকে অন্য দোকানে। একই সঙ্গে গুরের দোকানেও ভির দেখা যায়।
সরেজমিনে পাঁচবিবি বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেখা যায়, নানা ধরনের ও আকারের নারিকেলের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা। তবে সব দোকানে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে নারী ক্রেতার সংখ্যাই বেশি চোখে পড়ে। এবছর ছোট আকারের নারিকেল প্রতি জোড়া ২২০ টাকা, মাঝারি ২৬০ টাকা এবং বড় সাইজের নারিকেলের জোড়া ৩০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।
উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের তুলসী রানী স্বপরিবারে এসেছেন পাঁচবিবি বাজারে পুজার নারিকেল কিনতে। তিনি জানান, নারিকেল ছাড়া পূজার কথা ভাবাই যায় না দাম যতই হোক। বাগজানা ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম-সম্পাদক ও পূর্ব রামচন্দ্রপুর মন্দির কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র সরকার বলেন, পুজার জন্য ৩০০ টাকা জোড়ায় ১৬’টি নারিকেল কিনেছি।গতবারের চেয়ে এবার দাম অনেক বেশি। পাঁচবিবি বাজারের নারিকেল দোকানদার ফরহাদ খন্দকার জনি বলেন, ৬ বছর আগে এই নারিকেল ৬০ থেকে ৭০ টাকা জোড়ায় বিক্রয় করেছি এখন সেই নারিকেল বিক্রয় করতে হচ্ছে আকার ভেদে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা জোড়ায়। ছাব্বির হোসেন বলেন, এবছর দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে মোকামেই বেশি দামে নারিকেল কিনতে হচ্ছে এজন্য আমাদেরকেও একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জীবনকৃষ্ণ সরকার বাপ্পী জানান, এ বছর উপজেলার ৮’টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ৭৫’টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পূজা পার্বণে মিষ্টান্নরপাশাপাশি নারিকেলের নাড়ু ও গুড়-মুড়ির মোয়া হচ্ছে পূজার অন্যতম উপকরণ।
আকতার হোসেন বকুল
০১৭৩৩-১৪১৬৩৯
Leave a Reply