শিবপুর থানায় একটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বেদন মোল্লা গং এর বিরুদ্ধে
স্টাফ রিপোর্টার:
নরসিংদী শিবপুর কারাচর এলাকায় সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি চাঁদাবাজ বাদল মোল্লা উপরে সম্প্রতি কে বা কারা রাত্রে আনুমানিক এগারোটার তার নিজ বাড়িতে ঢোকার সময় হাবিব প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির সামনে কে বা কারা অতর্কিত হামলা করে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে জানা যায়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় খোকা মিয়া গং এর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় বাদল মোল্লা এবং বাদল মোল্লার ভাই বেদন মোল্লা শামীম মোল্লা এরা কারারচর বিসিক এলাকার সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নামে পরিচিত এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মাদক কারবারি, চাঁদাবাজি, সাপের বিষ নিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছে। এছাড়াও পাটোয়ারপুর এলাকার বিএনপি নেতা খোকা মিয়ার লোকজনের উপর বরইতলা থার্মেক্স গ্রুপের সামনে হামলা করে দেলোয়ার হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত যখম করে তারপর দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন উক্ত মামলায় বাদল মোল্লা জেল খেটে বের হয়। আর তার ভাই শামীম মোল্লা দেলোয়ারের দায়ের করা মামলায় হাজতে রয়েছে। উক্ত আসামি গং তাদের মাদক ব্যবসা চাঁদাবাজি নির্বিঘ্নে করতে বাধা দেওয়ায় খোকা মিয়া ও তার ছেলে সন্তানদের উপর উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে আসার তথ্য পাওয়া গেছে। নির্যাতিত স্থানীয় নিরিহ দেলোয়ার হোসেন জানান এরা আমার উপরে দা চুরি অস্ত্র নিয়ে হামলা করে এ হামলায় আমি আমার একটি হাত ওকেজো হয়ে যায় এর পিছনে চিকিৎসা করতে এই পর্যন্ত পাঁচ-ছয় লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে। আমি আমার বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে বর্তমানে সাংসারিকভাবে চলাফেরা করতে খুবই কষ্টে আছি তারপরও আমার উপরে গত ৭/৪/২০২৫ইং ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবপুর থানায় একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আমাকে হয়রানি করে আসছে আমি এই মিথ্যা মামলা হতে পরিত্রান চাই। প্রশাসনের নিকট আমার আকুল আবেদন আপনারা যাচাই-বাছাই করে যিনি এই অপরাধের সাথে জড়িত তাকেই আপনারা বিচার করবেন অযথা কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়। উক্ত মামলার ব্যাপারে স্থানীয় পাটোয়ার পাড় এলাকার বিএনপি নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ খোকা মিয়া কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি অসুস্থ, চোখের অপারেশন করিয়েছি আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা আমার ছেলেপেলেরাও এ ধরনের কাজ করতে পারে না, যিনি এই অপরাধের সাথে জড়িত তার যেন বিচার করা হয়। অযথাই আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা মামলা করে কোন লাভ নাই আমরা এই ধরনের কাজের সাথে জড়িত নই, আমরা সাধারণ মানুষ ব্যবসা করে ডাল ভাত খাই। এই মামলার ব্যাপারে মামলার বাদী ফখরুল আলম বেদন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি একেক সময় একেক ধরনের কথা বলেন, একবার বলেন হামলার সময় তিনি ঘরের ভিতরে ছিলেন ডাক চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসছেন,আরেকবার বলেন উনার চাচাতো ভাই ফয়সাল নাকি দেখেছে তিনজন লোক মোটরসাইকেল করে হেলমেটে পড়ে এসে তার ভাই বাদল মোল্লার উপর হামলা করে। এই মামলার কোন সততা এখনো পাওয়া যায়নি। উক্ত ঘটনায় শিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আফজাল হোসেনের সাথে আমাদের প্রতিবেদক আলাপ করলে তিনি বলেন মামলাটি তদন্তা ধীন রয়েছে তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেও আমি আবার নিজে সঠিক ভাবে তদন্ত করব এখানে অযথায় কাউকে হয়রানি করা হবে না। শরীরে কুপ যেহেতু একটা একজনেই দিছে আসামি একজনই হবে। আর বাদল মোল্লার সাথে থাকা টাকা হারানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনেক সময় আমরা দেখতে পাই গন্ডগোল হওয়ার পর অযথাই এ ধরনের কথা বলে থাকে আমার পকেটে টাকা ছিল,স্বর্ণের জিনিস ছিল এগুলি আমরা বুঝি এসব কিছু যাচাই-বাছাই করি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
Leave a Reply