চাঁদনী রাত —
এই চাঁদনী রাত —
নিঃশব্দ নদীর ধারে শুয়ে আছে কাশবন,
আলতো হাওয়া জড়ায় শিউলি গন্ধে —
কারো হাঁটার শব্দ নেই, তবু শোনো —
পুরনো ব্যথা পায়ে পায়ে হাঁটে!
আমার বুকের ভেতরও এক নদী —
জোছনার আলোয় ভেসে যায় পুরনো মুখ,
সেই মুখ যে আজও জেগে থাকে
নিঃশ্বাসে, স্বপ্নে — অথচ কেউই আর ফেরে না।
তারারা জেগে আছে আকাশের ছেঁড়া তোরণে —
তারা জানে কত দুঃখ জমে থাকে মানুষের ঘরে,
তারা জানে রাতের ভেতর কত শূন্যতা,
কত কথার বৃষ্টি ঝরে নীরবে
অতল আঁধারের বুকে।
চাঁদ কবে এভাবে ঝরে যাবে নদীর জলে —
এই ভেবে রাত কাঁপে, বুক কাঁপে,
আমি কাঁপিনা আর —
শুধু নদীর গা-ঘেঁষে হেঁটে যাই,
জোছনার নিচে গোপন অন্ধকার বুনি।
হয়তো কোনো ভোরের মিহি কুয়াশায়
দূরের শালিক ডাকবে ফেলে আসা নামে,
নদীর বুক পেরিয়ে যাবে হারানো নগরী,
একবার শেষবারের মতো ছুঁয়ে যাবে পায়ে —
তারপর আমি আর নদী — দুজনেই ঘুমিয়ে যাবো নিঃশব্দ জলে।
✍️ — আবু মুসা আসারি 🌙🍂
Leave a Reply