সূত্র মতে, অল্প সংখ্যক কারখানা গুলো বিএসটিআই অনুমোদন পেলেও নিরাপদ খাদ্য আইনের ধরাবাধা নিয়ম মানছে না তারা। সরেজমিন ‘ন্যাশনাল ফুডস’ নামের একটি বেকারি খাদ্য তৈরির কারখানায় পরিদর্শনে দেখা যায়, খাবার তৈরির কারিগররা হাতে গ্লাভস পরিধান ব্যতিরেকেই ময়দা ছানছে। এছাড়াও পাউরুটি সমূহ প্যাকেটজাত করে মেঝেতে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ফেলে রেখেছে। শুধু তাই নয়। কারখানাটির মূল ফটক কিংবা অন্যত্র কোথাও নেই সাইনবোর্ড। কারখানাটির ম্যানেজারের সাথে কথা হলে বলেন, এত নিয়ম মানা সম্ভব না।একইভাবে ‘আল্লাহর দান’ বেকারি কারখানাটি শুধুমাত্র আবেদন করে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীনভাবেই চলছে। সেখানেও একই অবস্থা সাইনবোর্ডবিহীন কারখানা পরিচালনা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে চলছে নির্দ্বিধায়। এ কারখানা মালিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এত কিছু বুঝি না। আমার ছোট ভাই সব কাগজ পাতি সেরে নিচ্ছে।
এছাড়াও উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের কুকড়াহাট ওয়ার্ডের একটি প্রতিষ্ঠান সাঘাটা থেকে জুমারবাড়ি মূল সড়কের সাথেই গড়ে উঠেছে। অথচ কারখানা প্রধান শহীদুল ইসলামের সাথে সরেজমিন কথা হলে বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেওয়া হয় নি।
উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড় ওয়ার্ডে ২ টি, কুকড়াহাট ওয়ার্ডে ১টি। এছাড়াও বোনারপাড়া ইউনিয়ন, সাঘাটা ইউনিয়ন সহ আরও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নেও মিলেছে এসব কারখানা।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়া উৎপাদিত খাবার খেলে ডায়রিয়া, আমাশয়, হেপাটাইটিসসহ নানা খাদ্যবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘমেয়াদে এসব খাবার লিভার, কিডনি ও পাকস্থলীর মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, নিয়ম না মেনে খাবার উৎপাদন ও বাজারজাত কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply