মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ সাংবাদিক ষটাফ রিপোটারঃ
ছবিতে দেখা যায়, ফ্যসিস্টের আমলে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে ছিলে তার নিয়মিত যাতায়াত এবং ফ্যসিস্টের সকল প্রোগ্রামে ছিল তার নিয়মিত সরব উপস্থিতি। আজ তিনিই দেশের একমাত্র বৈষম্যবিরোধী।
মাফিয়া সাম্রাজ্য ঠিকিয়ে রাখতে শহীদদের রক্তের উপর দিয়ে বেঈমানী করে অবৈধ অর্থের জোরে, ছল-ছাতুরীর আশ্রয়ে, মুখোশ পরে বর্তমানে হয়ে গেছেন তিনি প্রধান বৈষম্যবিরোধী রেল কর্মকর্তা।
তার ডান হাত খ্যাত প্রধান সেনাপতি সাইফুল ইসলামকে (বর্তমান প্রধান নির্বাহী, কেলোকা পার্বতীপুর) ৫ই আগস্টের পরপর তার ক্ষমতার জোর খাটিয়ে রেল প্রশাসনকে একপ্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে পদায়ন করতে বাধ্য করেন প্রধান নির্বাহী পদে কেলোকা, পার্বতীপুরে। আর বিতর্কিত সাইফুলকে প্রধান নির্বাহী করেই কেলোকা, পার্বতীপুর থেকে মাত্র কয়েক মাসে অনৈতিকভাবে হাতিয়ে নেন শত শত কোটি টাকা। কোন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা, পার্বতীপুর এর প্রধান নির্বাহীর অধীনে বিগত কয়েক মাসের সকল সরবরাহ কাজের প্রদানকৃত বিলের তালিকা করে, তা যাচাই করলে প্রমান মেলবে এই শত কোটির বিশাল ভয়ংকর সব অনিয়মের।
এছাড়াও,তার প্রধান খলিফা ও গৃহপালিত বেতনভুক্ত নামেমাত্র ঠিকাদার তারেক খন্দকারকে দিয়ে দলীয় পরিচয়ে রেল অফিস দখল, সিন্ডিকেট করে টেন্ডারবাজী এবং শত শত কোটি টাকার হরিলুট চালাচ্ছেন প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক, পাহাড়তলীতে এবং প্রধান নির্বাহী, কেলোকা পার্বতীপুরে। আমাদের হাতে এসেছে তার চোখ ধাঁধানো সব দেশি বিদেশী জালিয়াতির প্রমান।
অতীত ও বর্তমানে এভাবেই এফএম বাহিনীর তাণ্ডবে ও ভয়ংকর ক্ষমতার দাপটে সাধারন কর্মকর্তারা ভুগছেন জান-মাল সম্মানের নিরাপত্তাহীনতায় এবং সাধারন ঠিকাদাররা ব্যবসায়ীক ভাবে বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
এফ এম বাহিনী প্রধান ফকির মহিউদ্দিনের আছে আমেরিকা কানাডাতে নামে-বেনামে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের অবৈধ অর্থের বিনোয়োগ। যা দ্বারা বেনামে সাবেক এক প্রবাসী রেল কর্মকর্তা’র তত্ত্বাবধায়ানে রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা খুলে বসেছেন। তার বিদেশী কারখানার নাম ব্যবহার করে নতুন-পুরাতন মালামাল অতিরিক্ত কয়েকশত গুন দাম বাড়িয়ে এফএম বাহিনীর গৃহপালিত ঠিকাদারদের দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়েতে আবার সরবরাহ করে হাতিয়ে নিচ্ছে শত শত কোটি টাকা। আমাদের হাতে এসেছে বিদেশের মাটিতে এফএম বাহিনীর মানিলন্ডারিং এর সকল দালিলিক প্রমাণ, যা দিয়ে রেলের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে আমরা সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
এফএম বাহিনী এতোটাই শক্তিশালী যে তারা দম্ভ করে বলে সব মিডিয়া ও রেল প্রশাসন সবসময় তাদের পকেটে থাকে। বাহিনী প্রধান চাইলেই রেল প্রশাসনকেও বাধ্য করতে পারে যেন বাহিনীর কোন সদস্যকে (অতীতে অনিয়মের অভিযোগে বিতর্কিত রেল কর্মকর্তা) কেনাকাটার মূখ্য পদে বসাতে। এবং তাদেরকে কেনাকাটার মূখ্য পদে বসিয়ে মনোনিত গৃহপালিত বেতনভুক্ত নামেমাত্র ঠিকাদারদের মাধ্যমে প্রতি বছর মানিলন্ডারিং করে শত শত কোটি টাকা পাঁচার করে আমেরিকা-কানাডাতে।
এছাড়াও দুর্নীতির টাকা দিয়ে প্রতিরাতে রেলের ক্লাবে ও ঢাকা শহরের বিভিন্ন ক্লাবে লাখ লাখ টাকার বাজীতে জুয়া খেলা মহিউদ্দিনের নেশা। লোক মুখে প্রচলিত আছে, অতীতে শেখ হেলালের সাথেও বিদেশের মাটিতে জুয়া খেলার পার্টনার ছিলো ফকির মহিউদ্দিন, তা তিনি দম্ভকরে বলতো সবসময় জুয়ার বোর্ডে।
শতকোটি টাকার বিপুল সম্পত্তি রয়েছে তার। যার মধ্যে বসুন্ধরায় প্লট, ক্যান্টনমেন্টে বাড়ী, চট্টগ্রামে বাড়ী ও চার পাঁচটি ফ্ল্যাট, বরিশাল আছে শত বিগা সম্পত্তি। যার দলিলের কপিও আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।
পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে আছে এফএম বাহিনীর আছে শতখানেক সন্ত্রাসী, যাদের মুহূর্তেই লেলিয়ে দিবে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলা মাত্রই। গুঞ্জন আছে, সব অফিসার এবং সাধারন ঠিকাদারদের অর্থ-বিত্ত সম্পদের পরিমান একত্রে মিলালেও তা ফকির মহিউদ্দিনের মোট অবৈধ সম্পদের তিন ভাগের এক ভাগ হবে।
এফএম বাহিনী যেখানে পোস্টিং নিয়ে যায় সেখানে সবার আগে খুলে বসে নিজস্ব জুয়ার আসর, নিজস্ব রক্ষিতাদের আড্ডাখানা ও বিদেশী মদের আসর। আর এইসব আসর থেকেই প্রতিরাতে বাহিনীর সদস্যরা ছক-কষে কে কোথায় কাকে কিভাবে ব্ল্যাকমেইল করে, ষড়যন্ত্র করে, ক্ষমতার দাপটে, নির্যাতন অত্যাচার দ্বারা কোণঠাসা করে বিতারিত করবে চিরতরে। বহু ঠিকাদার এই মহিউদ্দিন বাহিনীর দাপটে ত্রাসের রাজত্বে অসহায় হয়ে এলাকা ছাড়া এমনকি দেশ ছেড়েও পলাতক রয়েছে বর্তমানে।
ফকির মহিউদ্দিনদের টাকার কাছে এদেশে বিক্রি হয় শহীদদের রক্ত, মিডিয়া, প্রশাসন এবং সবাই। তাই এফএম বাহিনীর দেশি-বিদেশী ভয়ংকর শক্তির কাছে ধরাশয়ী ও পরাজিত সবাই।
মাননীয় রেলপথ উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয়ের প্রতি বিশেষ অনুরোধ বাংলাদেশ রেলওয়ে রক্ষার স্বার্থে এই সিন্ডিকেট এবং এফএম বাহিনীকে থামাতে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিন।
👀 নিয়মিত চোখ রাখুন দেখতে, এফএম বাহিনীর সম্পর্কে উপস্থাপিত প্রতিটি অভিযোগের চাঞ্চল্যকর অডিও, ভিডিও ও দালিলিক প্রমাণ।
📢 দুর্নীতি প্রতিরোধে সহযোগিতার লক্ষ্যে আমরা আগাম তথ্য প্রদানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
Leave a Reply