1. lifemedia766@gmail.com : admin : Badsah Deoan
  2. aglovelu99@gmail.com : Ag Lovelu : Ag Lovelu
  3. infocrime24@gmail.com : info crime24 : info crime24
  4. crimereport24@gmail.com : Crime Report : Crime Report
  5. musasirajofficial@gmail.com : Musa Asari : Musa Asari
  6. crime7775@gmail.com : Ariful Islam : Ariful Islam
  7. nurealomsah@gmail.com : Nure Alom Sah : Nure Alom Sah
কুয়াকাটা সৈকত দখল করে ঝুকিপূর্ণ মার্কেট নির্মানের অভিযোগ - Crime Report 24
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কালিয়াকৈর ফুটওভার ব্রিজে লাইটিং ব্যবস্থা না থাকায় ডাকাতির আতংকে সকল পেশার মানুষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার ময়মনসিংহে সাঁতার প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন কলাপাড়ায় ইউএনওর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড়।। দেশের সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজকে কটুক্তি; লাকসামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন তেরখাদায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী পদ পেলেন বিএনপির কমিটিতে। নেত্রকোণায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ১২কেজি গাঁজাসহ ২জন আটক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষার অগ্রগতি ও উন্নয়ন শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় অসহায় গৃহহীনের জন্য ঘর নির্মাণ’র চাবি হস্তান্তর ও খাদ্য সহায়তা প্রদান আমতলীতে তালাকের তথ্য গোপন করে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, আদালতে মামলা!

কুয়াকাটা সৈকত দখল করে ঝুকিপূর্ণ মার্কেট নির্মানের অভিযোগ

  • প্রকাশকাল: শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দখল করে চলছে অবৈধভাবে ঝুকিপূর্ণ মার্কেট নির্মানের কাজ। শুধু দখল নয় টিন আর কাঠের মাচার উপরে ইট সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে দ্বিতীয় তলায় করা হচ্ছে আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। যা পর্যটকদের জন্য ঝুকিপূর্ন। একসময়ে টাইলস মার্কেট নামে পরিচিত মার্কেটটিতে নিচতলায় প্রায় ৪০-৫০টি দোকান থাকায় সারাবছরে পর্যটকদের অবস্থান থাকে ওখানে। তবে প্রতিষ্টানটিকে অনেক আগেই সাইনবোর্ড দিয়ে ঝুকিপূর্ন ঘোষনা করে কুয়াকাটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবার সৈকত দখল করে মার্কেটিককে বর্ধিত করছে মার্কেটটির মালিক দাবি করা মো.সাজিদুল ইসলাম হিরু মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তবে সৈকতে মালিকানা সরকারের এখানে মার্কেট করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানায় প্রশাসন। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিমপাশে প্রায় দুইশো ফুট লম্বা টাইলস মার্কেটের পশ্চিমপাশে পুরোপুরি সৈকতের ভিতরে, জোয়ারের পানি সার্বক্ষনিক এই মার্কেটে এসে আচড়ে পড়ে। বর্তমানে সেটিকে আরো লম্বা করে আআনুমানিক ২০-৩০ ফুট বর্ধিত করে পুরোপুরি সৈকতের ভিতরে সাগর থেকে বালু উত্তোলন করে দোতলা মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মার্কেটটি লোহার পাত আর কাঠ দিয়ে তৈরী করা হলেও তার উপরে আবার ঢালাই দিয়ে দোতলা নির্মান করে উপড়ে আবাসিক হোটেল নির্মান করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই স্থাপনার নিচে ব্যবসা করা অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে নির্মিত মার্কেটের ফ্লোর টাইলস দিয়ে তৈরি করায় এর নাম টাইলস মার্কেট নামে পরিচিত মার্কেটের মালিক দাবিদার মো.সাজিদুল ইসলাম হিরু মিয়া সরাসরি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য না থাকলেও যখন যেই দল ক্ষমতায় থাকে তাদেরকে ব্যাবহার করে এই স্থাপনা রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও নিজেকে জমির মালিক দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এই জমি খাস ক্ষতিয়ানের। পাশে তাদের একটি বন্দোবস্তোর জমি ছিল যা সমুদ্রে বিলিন হয়ে গেছে। যার বিপরীতে এই জমির মালিক দাবি করেন তিনি। এছাড়া মার্কেটটির সামনে ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সাইনবোর্ড টানানো রয়েছে।
পরিচয় গোপন রাখা শর্তে ওই মার্কেটের এক দোকানি জানান, বর্ষায় ডেউ এসে আচড়ে পড়ে এই মার্কেটের এক পাশে। এতে ঝুকিতে থাকে আমাদের অনেক ব্যবসায়ী। এতদিন যেভাবে ছিল এতে ভয় কম ছিল কিন্তু এখন মার্কেটটি আরো বড় করা হচ্ছে উপরে ঢালাই দেয়া হচ্ছে। তাতে যেকোনো সময়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা গবীর মানুষ এটা নিয়ে কথা বললে আমাদেরকে নামিয়ে দিবে ব্যবসা না করলে খাবো কি? কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সভাপতি কে.এম বাচ্চু বলেন, কুয়াকাটাতে স্থায়ী কোনো মার্কেট না থাকায় এই মার্কেটটি কিছুটা হলেও পর্যটকদের প্রসাধনী কেনায় গুরুত্বপূর্ন স্থান হিসাবে বিবেচিত। তবে মার্কেটিট ঝুকিপূর্ন তাই পৌরসভা এটিকে ঝুঁকিপূর্ন ঘোষনা করে সাইনবোর্ড দিয়েছে। তবে পুরোপুরি সৈকতের মধ্যে তিনি মার্কেটিকে কিভাবে বর্ধিত করছে জানা নেই। এখানে যদি কেনো দূর্ঘটনা ঘটে তাহলে শতশত পর্যটকরা ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। সৈকত দখল করার কারনে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
পরিবেশ বাচাও আন্দোলন কলাপাড়ার কার্যকরী সদস্য মেজবাহ উদ্দিন মাননু বলেন, যতদুর জানি ২০১১ সালের উচ্চ আদালতের রায়ে উল্লেখ রয়েছে বেড়িবাঁধের বাহিরে এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণের কোন সুজোগ নেই। মুলত প্রশাসনের উদাসিনতার কারণেই তারা এই সাহস পাচ্ছে। এটি ওয়াটার লেবেলের ক্ষতি সহ কুয়াকাটা সৈকতের জন্য মারাত্মক হুমকি।
এবিষয়ে ওই জমির মালিক দাবি করা মো.সাজিদুল ইসলাম হিরু মিয়া বলেন, এই জমির মালিক আমি, আমার জমির অনেকাংশ সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে। এটা নিয়ে প্রশাসনের সাথে বার বার বৈঠক হয়েছে, আবারও হবে। আর এই স্থাপনা ঝুকিপূর্ন নয় প্রকৌশলীর পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হয়েছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.ইয়াসিন সাদেক জানান, এই জমির উপর আদালতে একটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমি এখানে নুতন যোগদান করেছি, তাই কাগজ হাতে না পেয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না। রবিবারের মধ্যে পেপারস হাতে পেয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছি। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমুদ্র সৈকতের মালিক একমাত্র সরকার, এখানে ব্যক্তি মালিকানার কোনো সুযোগ নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এবিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরণের অন্যান্য নিউজ