কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজের কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে সমন্বয়ক রঞ্জনের উপর দেশীয় অস্ত্রের আঘাতের কুপ থেকে বাচাঁতে গেলে উল্টো সেই কুপের আঘাতে নিহত হয় ছাত্রদলের আশিক খাঁ।
আর এঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার ও ২৯ জন বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা করেছেন নিহত আশিক খাঁ এর মা রিতা আক্তার।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বিএনপি নেতা শাহ মোহাম্মদ আলী হায়দার বাবুল ও আব্দুল হান্নান নামের এই দুই ব্যক্তি।এবং এ ঘটনার একদিন পর ২৩ মার্চ ২০২৫ রবিবার তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন পুলিশ।
বিএনপির বিভিন্ন পদ পদ বীতে থাকা ২৯ জন অপরাধীর বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নামে নিহতের মা রিতা আক্তার বাদী হয়ে রবিবার থানায় এ মামলাটি করেন বলে জানা গেছে।
এতে আসামি কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আশিকুজ্জামান নজরুল, চান্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রিয়াজুল ইসলাম সেবক, চাতল বাঘহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলী হায়দার বাবুল, চান্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ইনসাফ আলীসহ ২৯ জনের অন্যান্য।
এর আগে এ ঘটনার প্রথম দিনে নিহত ছাত্রদলের মো. আশিক খাঁ এর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে, কটিয়াদী সরকারি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রিক্সারমোড়, কলেজ রোড ও উপজেলা রোড হয়ে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত এক প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল করে কটিয়াদী উপজেলার ছাত্রদল ও যুবদলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।
পরে আবারও মো.আশিক খাঁ এর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় এসে তা সমাপ্তি করে।
Leave a Reply