1. lifemedia766@gmail.com : admin : Badsah Deoan
  2. aglovelu99@gmail.com : Ag Lovelu : Ag Lovelu
  3. infocrime24@gmail.com : info crime24 : info crime24
  4. crimereport24@gmail.com : Crime Report : Crime Report
  5. mehedyhasan321m@gmail.com : Mehedy Hasan : Mehedy Hasan
  6. musasirajofficial@gmail.com : Musa Asari : Musa Asari
  7. crime7775@gmail.com : Ariful Islam : Ariful Islam
  8. nurealomsah@gmail.com : Nure Alom Sah : Nure Alom Sah
আমিরাতের রাস আল খাইমায় দৃষ্টিনন্দন সর্বোচ্চ পর্বত ও বিশ্বের দীর্ঘ জিপলাইন জাবেল জেইস - Crime Report 24
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগে জামাই গ্রেপ্তার দিনাজপুর-১ আসন বিশেষ কৌশল জাতীয় নির্বাচন আনুষ্ঠানিক যাত্রা পথে নির্বাচন সমীকরণ! নেত্রকোণায় মন্দির ও শ্মশানের অনুদান আত্মসাতের অভিযোগ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র‍্যাব ১৪ অভিযান চালিয়ে দালাল গ্রেফতার ১৮ দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ঐতিহাসিক সাফল্য কালিয়াকৈরে মুদি দোকানে আগুন থানায় অভিযোগ কাজিরহাটে সাংবাদিক হৃদয় ইসলামের ছোট বোন ও ভগ্নিপতিকে হত্যার চেষ্টা চাচাকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে ভাতিজার ৫ বছরের কারাদণ্ড নির্ঘুম রাতের অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ০১ খাগড়াছড়িতে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের মানববন্ধন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিতে অবদানের জন্য নাজমুন নেসা পিয়ারিকে অ্যাওয়ার্ড দিবেন এজেএইচআরএফ

আমিরাতের রাস আল খাইমায় দৃষ্টিনন্দন সর্বোচ্চ পর্বত ও বিশ্বের দীর্ঘ জিপলাইন জাবেল জেইস

  • প্রকাশকাল: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিলাসবহুল জীবনযাপন, চোখ ধাঁধানো রঙিন আলোকরশ্মি, আকাশচুম্বি অট্টালিকা, কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জসহ নানা কারণে জনপ্রিয় দুবাই, আবুধাবি। কিন্তু এই শহরগুলোর তুলনায় বেশ কোলাহলমুক্ত রাস আল খাইমাহ প্রদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় অবস্থিত জাবেল জেইস। একদিকে পারস্য উপসাগর অন্যপাশে ইরান ও ওমানের সীমান্ত ঘেষে এই জাবেল জেইস পর্বত। এই পবর্তটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ উচ্চতম পর্বত। নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্য রাস আল খাইমা প্রদেশে একই সাথে আছে পাহাড়, মরুভুমি ও সমুদ্র। জাবেল জেইস পর্বতের বুক কেটে তৈরি করা হয়েছে চমৎকার ৪ লেনের রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ি জাবেল জেইস পর্বতে আসা যাওয়া করে। দীর্ঘ পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে উপরে উঠলেই দেখা যায় শুধু পাথর আর পাথর। আমাদের দেশে পাহাড়ে গাছ-গাছালী থাকলেও এখানে শুধু পাথর। ধু ধু করছে চারদিক। এ যেন পাথরের রাজ্য! পর্বতটি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় এবং রোমাঞ্চকর পর্যটন কেন্দ্র। আঁকা বাঁকা রাস্তায় পর্বতের চূড়ায় উঠার অভিজ্ঞতা একদমই অন্যরকম। দেখলাম জাবালে জেইস পর্বতে পৃথিবীর দীর্ঘতম জিপ লাইনের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। পর্যটকদের থাকার ও খাওয়ার জন্য পর্বতের উপরে রয়েছে বেশ কিছু হোটেল-মোটেল ও গ্রোসারি।

জাবেল জেইস হলো আমিরাত তথা বিশ্বের দীর্ঘ জিপলাইন। আকাঁবাকাঁ রাস্তা দিয়ে উপরে উঠেতে অনেক সময় লেখে যায়। হেঁটে উঠাতো সম্ভবপর নয় বরং গাড়ি ড্রাইভ করে পাহাড়ের উপরে উঠা অনেক দুস্কর হয়ে পড়ে। রাস আল খাইমায় অবস্থিত জাবেল জেইস সর্ম্পকে একটু জেনে নেই। জেবেল জাইস বা জেইস ওমানের মুসান্দাম গভর্নরেট এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ – তে উত্তর – পশ্চিম হাজর রেঞ্জের একটি পর্বত । শিখরটির উচ্চতা ১৯৩৪ মিটার (৬৩৪৫ ফুট)। শিখরটি ওমানি দিকে অবস্থিত, তবে এই চূড়ার পশ্চিমে একটি উচ্চ বিন্দু সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ বিন্দু হিসাবে বিবেচিত হয়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৮৯২ মিটার (৬,২০৭ ফুট) উচ্চতায় এবং প্রায় ১০ মিটার বিশিষ্টতা। পর্বতের শিখরটি ওমানের দিকে জাবাল আর রাহরাহ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জাবেল জেইস নামেই পরিচিত।

জাবেল জেইসের নিচ থেকে নির্ধারিত সীমানায় গাড়ি ড্রাইভ করে পৌছঁতে প্রায় বিশ/পঁচিশ মিনিট সময় লাগে। অনেকে এই স্পটে যারা নতুন ভ্রমনে আসে তাদের মধ্যে ভয়ও কাজ করে। জাবেল জেইসে নির্ধারিত সীমানায় পৌছেঁ গাড়ি পার্কিং করার পর পায়ে হেঁটে জাবেল জেইসের সর্বোচ্চ উপরে উঠতে ত্রিশ/পয়ত্রিশ মিনিট সময় লেগে যায় এবং পথিমধ্যে অনেকে হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে অনেক কষ্ট করে উপরে উঠতে সক্ষম হয়।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, জাবেল জেইসের নিচে থেকে ঠিক উপর পর্যন্ত ১৭৭০ মিটারের আকাঁবাকাঁ রাস্তা যা সাধারণ মানুষের পক্ষে পায়ে হেঁটে উপরে উঠা খুবই দূরহ ব্যাপার। এখানে একটি বিষয় না বল্লে নয় যে ভ্রমনে আসা দীর্ঘসময়ের পথ বিধায় অন্য কোন পর্যটকের ঠিক উপরে উঠার সাহস হয়না। অবশ্যই উপরে উঠার জন্য কর্তব্যরত ডিউটি পুলিশ অনেক সময় সহায়তা করেন ভ্রমন পিপাসুদের। উপরের এক স্থানে হেলিকাপ্টার এর জন্য মার্ক করে স্পট করে রাখা হয়েছে হয়ত কোন প্রাকৃতিক দূযোর্গ বা ডিফেন্স এর কোন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় পাহাড়ের ভিতরে এমন দৃশ্যটি সামনে থেকে দেখতেও খুবই চৎমকার দেখায়। জাবেল জেইসের উপরে আসা দর্শনার্থীরা পছন্দমত ফটোসেশন বা ছবি তোলা এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে এবং জাবেল জেইসের উপরে আরব আমিরাত এবং ওমানের বর্ডারের সিকিউরিটি ফোর্সের সাথেও অনেকে সুযোগমতে কৌশলাদি বিনিময় করে। নিচে থেকে উপরে উঠে যেখানে গাড়ি পার্কিং করা হয় সেখান থেকে উপরে পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে প্রায় ত্রিশ মিনিট এবং পথিমধ্যে আবার চার/পাঁচ মাইল স্থানীয় গাড়ি করে উপরে যেতে হয়। সেখান থেকেও জাবেল জেইস পাহাড়ের শেষ পর্যন্ত দেখার পর্যটকদের তেমন দুঃসাহস হয় না বিধায় অনেকের জায়গাটি মিস করে। উপরে উঠতে পারলে পর্যটকদের মনে হয় জাবেল জেইসে আসা স্বার্থক হয়। পাহাড়ের ঠিক উপর থেকে নিচের ভূমিতে থাকালে যেন মনে হয় নিচের বাড়ি ঘর এমনকি আরব সাগরও খুবই ক্ষুদ্রাকার। পাহাড়ের উপরের সবসময় ঠান্ডা ও জোড়ে হাওয়া বিরাজ করে বিশেষকরে ঠান্ডা মৌসুমে আদ্রতা জিরো ডিগ্রীর নিচে নেমে আসে। তখন ঐ সময়ে উপরের উঠার সম্ভবপর হয় না। জাবেল জেইস এর উপরে উঠতে স্থরে বিশেষ জায়গায় দর্শনার্থীদের জন্য গাড়ি পাকিং ও পিকনিক বা পাহাড়ের ভিউ দেখার স্থান করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এইভাবে যথই পাহাড়ে উপরে উঠা হয় তথই পাহাড়ের উপর থেকে নিচের ভিউ অনেক সৌন্দর্য রুপ ধারণ করে এবং আনন্দও লাগে পর্যটকদের। অনেক পর্যটক দূর দুরান্ত থেকে জাবেল জেইসে এসে রাত্রি যাপনও করে থাকে এবং সেখানে থাকার সেই পরিবশেও বিরাজ করে। উপরে যেখানে গাড়ি পার্কিং করার শেষ স্থান সেখানে থেকে আরেকটু উপরের কয়েকটি হোটেল আছে এবং সেই হোটেলে যেতে হলে আগে থেকে অনলাইনে বুকিং দিতে হয় তারপর নির্ধারিত গেইট দিয়ে হোটেলে যেতে হয়। হোটেল গুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমিরাতে আসা পর্যটকদের ভীড় বেশি এবং পাহাড়ের উপরে এই ধরণের হোটেলে বসে নিচের ভিউ দেখতে ভ্রমন পীপাসুদের জন্য খুবই আনন্দায়ক পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে আমিরাতের সবজাগায় থেকে আসা স্থানীয় আরবী এবং প্রবাসীদের জাবেল জেইসে উপস্থিতি যেন তিল ধারণের ঠাঁই হয় না। ব্যাচেলর ও ফ্যামিলি নিয়ে আসা অনেক প্রবাসীরা নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার নিয়ে আসেন এবং দীর্ঘসময় অবস্থান করে জাবেল জেইসের পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেখা যায় ঘুরে ঘুরে বিশ্ব-জাহানে ছড়িয়ে থাকা আল্লাহ নিদর্শনসমূহের প্রতি গভীর মনোযোগে লক্ষ্য করে অনেকে। পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখা হয়, আল্লাহ জাল্লাশানুহু কিভাবে পৃথিবীকে বিছিয়ে দিয়েছেন এবং তাতে পাহাড়-পর্বত নদ-নদী ও সমুদ্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে বিভিন্ন প্রকার ফল-ফসল উৎপন্ন করেছেন। এ সব কি এ কথারই প্রমাণ বহন করে না যে— এ সব কিছু এমনি এমনিই সৃষ্টি হয়নি বরং পরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? এ সবের সৃষ্টিকর্তা আর কেউ নন- তিনি আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল, তামাম জাহানের রব।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরণের অন্যান্য নিউজ