মকবুল হোসেন,স্টাফ রিপোটার
ময়মনসিংহ সদর কোম্পানি, র্যাব-১৪,ময়মনসিংহ কর্তৃক ময়মসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচলানা করে ১৮ জন দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ২৯ অক্টোবর বুধবার সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটিকা হতে ১৫:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সদর কোম্পানি, র্যাব-১৪, এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার শাহ্ মোঃ রাশেদ রাহাত, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাশিক খান শুষান গনদের নেতৃত্বে ময়মসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত মোবাইল কোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। মোঃ মাসুদুল করিম (৪৮), পিতা-আক্কাস আলী, সাং-চরপাড়া, ২। ছামির (২৩), পিতা-চান মিয়া, সাং-কিসমত, ৩। রুবেল (৫৫), পিতা-শফিক, সাং-বেলতলী, ৪। আজাহার (৪৮), পিতা- তোতা মিয়া, সাং- চরপাড়া, ৫। শামীম (২৭), পিতা- আঃ রাহেদ,সাং-ছিপান, ৬। আশরাফুল (২৩), পিতা- নৈমদ্দিন, সাং-বালিপাড়া, থানা-ত্রিশাল, ৭। হারিদুল ইসলাম (৪২), পিতা- আঃ সিদ্দিক, সাং-সরিষা, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, ৮। মোঃ আলামিন (২৫), পিতা-ছালু মিয়া, সাং-চরপাড়া, ৯। তুষার আহম্মেদ (২৭), পিতা-আব্দুল হান্নান, সাং-চড়পাড়া, ১০। বিজয় (৫০),পিতা-বসুনাথ হরিজন, সাং-নতুন বাজার, সর্বথানা-কোতোয়ালী, ১১। নজরুল ইসলাম (৪৫),পিতা-মৃত আলতাফ হোসেন, সাং-শিকারীকান্দা, ১২। ইদ্রসি আলী (৪০), পিতা আরশেদ আলী,সাং-দিত্তপাড়া, থানা-গৌরীপুর, ১৩। শহিদুল ইসলাম (৩০), পিতা-কামরুজ্জামান, সাং-দাড়াইকুটি, থানা-মুক্তাগাছা, ১৪। ইমন (১৯), পিতা- মনির, সাং-চরপাড়া ১৫। নয়ন মিয়া (৪৮), পিতা- আঃ গফুর, সাং-চরপাড়া, উভয় থানা-সদর,সর্বজেলা-ময়মনসিংহ, ১৬। চঞ্চল (৩৩), পিতা-সুশিল দাস, সাং-সজবরুখীলা, থানা-সদর, জেলা-শেরপুরদের সরকারী কাজে বাধা প্রদান করায় ১৮৬০ সনের দন্ডবিধি আইনের ১৮৬ ধারা মোতাবেক প্রত্যেককে ২০ (বিশ) দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১৭। আঃ রাজ্জাক (৬২), পিতা- মৃত শওকত আলী,সাং-চাপাড়া,থানা-সদর জেলা-ময়মনসিংহকে ১৪ (চৌদ্দ) দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১৮। মোঃ আলামিন (৪৫), পিতা-নওশের আলী, সাং-সারটিয়া,থানা-ফুলবাড়ীয়া, জেলা-ময়মনসিংহকে উক্ত ধারা মোতাবেক ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান পূর্বক জেল হাজতে প্রেরন করেন। উল্লেখ্য যে, উক্ত দালাল চক্রের সদস্যরা গরীব অসহায় রোগী ও তাদের স্বজনদের ভুল তথ্য দিয়ে, কম খরচ ও উন্নত চিকিৎসার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এমনকি জিম্মি করে ফাঁদে ফেলে পছন্দের অনুমোদনহীন ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠায়, যা দরিদ্র রোগীদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করে।
জনগনের কল্যাণের স্বার্থে র্যাবের এমন জনবান্ধব কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।র্যাব ১৪ প্রেস রিলিজ মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply