নিবিড় আঁধারের অর্কে বাজে জ্যোতিষ্মান সংলাপ,
শব্দহীন শব্দে বয় অতীতের অনুজ্জ্বল প্রতিলিপি।
আকাশের কর্কশ ক্যানভাসে ছুঁয়ে যায় নক্ষত্রের করতালি,
তবু এই নিস্তব্ধতা এক অস্ফুট বেদনার প্রলেপ।
চন্দ্রের ক্ষীয়মান মুখে লেখা আছে নিষ্পাপ নির্বাসন,
রাত্রি তার কণ্ঠে ধারণ করে অব্যক্ত আত্মদহন।
সময়ের জীর্ণ ধ্বংসস্তূপে অনুরণিত অদেখা যন্ত্রণা,
অলৌকিক অনুপমায় জাগে পরাজয়ের অনিন্দ্য ছায়া।
স্মৃতির শ্রাবণে ভিজে ওঠে অনাহূত একাগ্রতা,
যেখানে শব্দ হয় শূন্য, ভাষা হয় বিবর্ণ, প্রেম হয় পরিত্যক্ত।
প্রতিটি নিশ্বাস একেকটি অন্ত্যোষ্ঠির স্তব,
প্রতিটি নিঃশব্দতা এক অন্তর্গত চিৎকারের শিলালিপি।
রাত্রির অন্তঃপুরে রচিত হয় একাকিত্বের উপাখ্যান,
যেখানে নক্ষত্রেরা নয়, জাগে অন্ধকারের আদি-বেদনা।
শোকের অলংকারে সজ্জিত এই মুহূর্তগুলি,
চেতনার নির্জনতায় মিশে যায় আত্ম-অবলোকনের মতো।
Leave a Reply