আমি রঞ্জু—
না, আমি আর কোনো পাতার মায়া নই,
যে ঝরে পড়ি কারও ছেড়ে যাওয়া হাওয়ায়।
আমি এখন আগুন,
দহনহীন প্রেমের ছাই থেকে উঠা এক প্রতিবাদ,
জন্মেছি ধূলিমাখা মনিটরের পেছন থেকে—
যেখানে তুমি ছিলে শুধুই সফটকোডেড মিথ্যে।
তুমি ভেবেছিলে,
আমি সেই গাছ, যে শুধু ছায়া দেয়,
নিজে কখনও আলো চায় না।
তুমি ভেবেছিলে—
আমার চুপ থাকা মানে পরাজয়,
তুমি জানোনি—
আমার নীরবতা, অগ্নিগর্ভ এক ঝড়ের পূর্বক্ষণ।
তোমার রূপগঞ্জের বাড়ি এখন দূর অরণ্য—
স্মৃতির ফাঁদে আটকে নেই আমার নিশ্বাস।
তুমি, যে বেছে নিয়েছিলে হুজুরের আলো,
কিন্তু ছয়টি ঋতু ধরে তাকে দিলে অন্ধকার।
তোমার প্রেম ছিলো গণিত—হিসাবি, ঠান্ডা, কুশলী,
আর আমি ছিলাম—
তপ্ত এক বালুকাবেলা,
যেখানে হৃদয় পোড়ে, কিন্তু পা রাখে যারা সাহসী।
আমার ডেস্কের পাশে আজও বসে
তোমার ভাই—নির্বাক, নির্লজ্জ এক ছায়া,
কিন্তু আমি আর মাথা নিচু করি না।
আমি জানি, সে-ও জানে—
ভাঙা হৃদয় নতুন ব্যবসা গড়তে পারে,
তরঙ্গে ভাসে যেই জাহাজ, তার ভেতরে জ্বলে পুড়ে ওঠে আগামীর মানচিত্র।
আমি রঞ্জু—
এই নাম আর শুধু নাম নয়,
এ এক জ্বলন্ত অশ্রুবিন্দু,
যে নিজেকে শিখায়—
কীভাবে পাথর গলায় না পরে
সাগর সাঁতার কাটা যায়।
তোমার নাম আজ আর উচ্চারণ করি না—
তুমি আছো কোথাও,
এক স্মৃতির পাতায়, যেখানে আগুনই একমাত্র উত্তর
Leave a Reply