মোঃ বুলবুল খান পলাশ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের চতুর্থ তলায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটন করেছেন ধামরাই থানা পুলিশ। এবং হত্যাকারী দুই জন স্ত্রী ও প্রেমিক যুগলকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। পরকীয়ার জেরেই এই হত্যা, নিজের স্ত্রী এবং প্রেমিক এ লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন বলে জানান পুলিশ।
আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ধামরাই থানায় এক প্রেসব্রিফিয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঢাকা জেলা (সাভার) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শাহিনুর কবির। এসময় উপস্থিত ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিপুল হোসেন।
জানা গেছে, উপজেলার দেপাশাই উত্তর আশ্রয়ন কেন্দ্রে বসবাসরত মোহাম্মদ আলী (৪০)’র স্ত্রী জয়তুন একই এলাকার তোফাজ্জল মিয়া সঙ্গে পরকিয়া করে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। তাদের দুজনের ঘরে সন্তানাদি ও রয়েছে।
পরকিয়ায় পড়ে মোহাম্মদ আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করে জয়তুন ও তার প্রেমিক তোফাজ্জল। এরমধ্যে গত রবিবার সকালের দিকে নিহত অটোরিক্সাসহ চালক মোহাম্মদ আলীকে ডেকে নিয়ে যায় প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়া। পরে উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীণ ভবনের ৪ তলায় বাথরুমে নিয়ে স্ত্রী জয়তুন ও ঘাতক তোফাজ্জল মিয়া মোহাম্মদ আলীকে ইট দিয়ে মাথা থেথলিয়ে পরে ধারালো চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়।
উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের ৪র্থ তলায় লাশ পড়ে আছে এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিনই সন্ধার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। ঘটনার ৪ দিনপর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দেপাশাই এলাকা থেকে প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়াকে প্রথমে গ্রেফতার করে। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের স্ত্রী জয়তুনকে ও গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু ও উদ্বার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত প্রেমিক যুগলকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply