ফাহমিদুল হক বুলেট, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতেও চলছে “প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতি” এর কারণে গত ২দিন থেকে উপজেলায় প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পিয়নগন। বৃহস্পতিবার (৪ই ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের বজরা দিয়ার খাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও থানাহাট ইউনিয়নের মজাইডাঙ্গাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া “প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত” শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষকরা। বুধবার দেশব্যাপী কমপ্লিট শাটডাউন ডাকা হয়েছিল। উপজেলার ৯৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গত দুইদিন পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বুধবারের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে অংশ গ্রহন করেন এবং পরীক্ষা বর্জন করে ছিলেন। কিন্তু আজকে কর্মবিরতির পরেও তারা, ঢিলেঢালা ভাবে বার্ষিক পরিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সহকারী শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (৪ই ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের বজরা দিয়ার খাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও থানাহাট ইউনিয়নের মজাইডাঙ্গাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকগণের মধ্যে সহকারী শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম বলেন, আমরা কর্মবির্তির মধ্য দিয়ে, ছাত্র/ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং তাদের মঙ্গলের জন্য বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছি বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে মজাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম কামরুল হাসান বলেন, সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। আমরা চাই তাদের যৌক্তিক দাবি যেন মেনে নেওয়া হয়। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আমার আমাদের জবাব দিহিতার জায়গা থেকে পরীক্ষা নিচ্ছি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ যেন নষ্ট না হয়, সেই দিকটাও আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, কিছু কিছু স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতির মধ্য দিয়েও স্কুলের পরীক্ষার কাজে সহযোগিতা করছেন, আবার অনেক স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, কিছু কিছু স্কুলের শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করে ছিলেন। আমরা সহকারী শিক্ষকদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলেছি।
Leave a Reply