প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের, ব্যুরো চীফ নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সেনবাগে সম্পত্তির বিরোধে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী এনামুল হক।
শনিবার ( ৪ অক্টোবর ) সকাল ৯টায় নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ৬ নং কাবিলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মইজীপুর গ্রামের সম্পত্তির বিরোধে সংবাদ সম্মেলন করেন, ভুক্তভোগী এনামুল হক (৬২), পিতা- মৃত আবু তাহের, গ্রামঃ মইজদীপুর, (মুন্সি বাড়ী)।
বিবাদী আবদুল মান্নান (৬৩), পিতাঃ মৃত আবদুর রশীদ, গ্রাম : মইজদীপুর, ০৯ নং ওয়ার্ড, ৬ নং কাবিলপুর ইউনিয়ন, থানাঃ সেনবাগ, জেলাঃ নোয়াখালী এর বিপক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে এনাম বলেন,গতকাল ০৩/১০/২০১৫ইং তারিখ, সকাল অনুমান ০৭:০০ ঘটিকায় ঈদগা দোকানের সামনে। বর্ণিত ০২ বছর পূর্বে বিবাদী উক্ত ০৪ শতাংশ জায়গা বলে আমার জায়গা আমি বিক্রি করিতেছি আমার আপন ভাইয়ের নিকট সাব কবলামূলে বিক্রি করি।
আমাদের পূর্বের পৈত্রিক ০২ শতাং ও উক্ত দাগে বিবাদীর নিকট থেকে ক্রয়কৃত ০৪ শতাংশ সহ মোট ১৬ শতাংশ জায়গা আমরা বিগত ০২ বছর ধরো শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখলদার আছি। বিগত কিছুদিন পরে বিবাদী সাবেক ১০১১ নং দাগে বিবাদীর পিতা মৃত আবদুর রশীদের নিকট ০৬ শতাংশ আন্দরে ০৪ শতাংশ জায়গা সাবকবলা বিক্রি করি, পরে যে ৩২ শতাংশ জায়গা আমাদের অবশিষ্ট ছিলো বিবাদী তাহা এখন তার দাবি করে।
বিবাদী জালিয়াতি করে ০২ জায়গার সম্পত্তি তাহার খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে পেলে। আমরা তাকে দলিল দেখাতে বললে বিবাদী কোন দলিল দেখাতে পারে নাই। এলাকার গন্যমান্য শালিসি ব্যক্তিবর্গ বিবাদীর কাছে দলিল দেখতে চাইলে,
বিবাদী কোন দলিল দেখাতে পারে নি। ঘটনার
তারিখ ও স্থানে বিবাদী আমাকে দেখতে পেয়ে
ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি শুরু করে। আমি যদি
বিবাদীকে জায়গা বিক্রি করতে বাধা প্রদান করি, তাহলে আমাকে মারধর করবে। উক্ত ঘটনার তারিখে রাত অনুমান ১০ ঘটিকায় সময় আমি দিলদার মার্কেট থেকে সবজি বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে আমাদের বাড়ির মসজিদের কাছাকাছি আসার পর অজ্ঞাত নামা ৬/৭ জন আমাকে দাওয়া করে। আমি দৌড়ে আমার বাড়িতে ঢুকে গিয়ে নিজের জান- প্রাণকে রক্ষা করি।
প্রশ্ন করলে ভুক্তভোগী বলেন, বিবাদী অত্যন্ত বদমেজাজী, উৎশৃংখল, আইন অমান্যকারী, আমরা ভয়ে কথা বলি না। কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে উল্টো আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারার জন্য বিবাদী আবদুল মান্নান তেড়ে আসে। বিবাদী এলাকার প্রভাবশালী। বিবাদী বর্তমানে সব মিথ্যা বানোয়াট কথা বার্তা বলে আমার মানহানি করে। বিবাদী আমাদের একই বাড়িতে বসবাস করে। স্বাধীনের পূর্বে বিবাদীর পিতা মৃত আবদুর রশিদের নিকট আমাদেও পূর্ব পুরুষ হোসেন আলী পন্ডিত মইজদীপুর মৌজার সাবেক ১০১১ নং দাগে ০৬ শতাংশ আন্দরে ০৪ শতাংশ জায়গা সাব কবলা মূলে বিক্রি করে। বাকি ৩২ শতাংশ আজ অবোধী আমরাই ভোগ দখলে ছিলাম ও আছি। গত স্বপরিবারে ঢাকা বসবাস করে। প্রায় ৬/৭ দিন আগে বিবাদী বাড়ীতে আসে। বাড়িতে এসে বিবাদী গোপনে ভূয়া খতিয়ান করা আমাদের ০২ শতাংশ জায়গা অন্যত্র বিক্রির জন্য বায়না চুক্তি করে ফেলে। আমরা তাহা এলাকার লোক মুখে শুনতে পাই। শুনতে পেয়ে আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের বিষয়টি অবগত করি।
এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদ্বয় বিবাদীর বাড়ি
গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে বিবাদী উনাদেরকে
বলছে, মূলত তাহার নিকট তাহার বক্তব্যর পক্ষে
কোন কাগজপত্র না-ই। আমার নিকট সমস্ত
কাগজপত্র আছে বলে সে গুলো আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন।
বিবাদী আবদুল মান্নান বলেন, বাদী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি তাহার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য।
Leave a Reply