মোঃ নুরুন্নবী পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার আতাইকুলায় ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের আওতায় নদী খননের কাজ চলাকালে ফসলি জমি, ফলের বাগান ও বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন নদীপারের শতাধিক বৈধ জমির মালিক। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলার আতাইকুলা থানাধীন চকউগ্রগড় গ্রামে নদীপাড়েই এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদী খননের পর উত্তোলিত মাটি জোরপূর্বক ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ও বসতবাড়ির আশপাশে ফেলে রাখছে। এতে তিন ফসলি জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং অনেক বসতবাড়ির স্থায়ী ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, নিয়মবহির্ভূতভাবে নদী থেকে উত্তোলিত কাদা ও মাটি তাদের জমিতে ফেলে দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ প্রকল্পের অধীনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ‘মাটি অপসারণ’-এর নাম করে পুনরায় জমি ও ঘরবাড়ির ক্ষতি করছে। প্রতিবাদ জানালে ভুক্তভোগীদের প্রশাসনের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখানো এবং হয়রানির অভিযোগও উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক আশরাফুল ইসলাম, মো. আব্দুল মজিদ, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা মো. আজহার, আব্দুল রশিদ, সোনাই মণ্ডল, সলিম উদ্দিনসহ আরও অনেকে। তারা বলেন, বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের ৫ দফা দাবিতে প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান, যার মধ্যে রয়েছে: 1. ক্ষতিগ্রস্ত জমি ও বসতবাড়ির নিরপেক্ষ পরিদর্শন এবং ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। 2. মাটি অপসারণে ক্ষতিরোধে বিকল্প ও নিরাপদ পদ্ধতি অবলম্বন। 3. হয়রানি ও ভয়ভীতি বন্ধ করা এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। 4. যথাযথ নিয়মে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশ ও জীবিকা রক্ষা। 5. ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত মাটি অপসারণ কার্যক্রম বন্ধ রাখা।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। একইসঙ্গে সরকারের কাছে আহ্বান জানান, যাতে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ করে দেওয়া হয়।
Leave a Reply