মোঃ নুরুন্নবী পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার সদর উপজেলার মুকুন্দপুর-খয়েরসুতি এলাকাবাসীর উদ্যোগে সন্ত্রাস, মাদক, বাড়ি দখল, গভীর রাতে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতি, লুটপাট এবং মসজিদের খাদেম শরীয়তুল্লাহকে হত্যাচেষ্টার, প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসী অস্ত্রধারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করা হয় ।
মঙ্গলবার ২০ মে বিকাল ৫ টার সময় দোগাছি ইউনিয়নের মুকুন্দপুর ও খয়েরসুতি গ্রামের আল-কাওসার মক্তব মোড় এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করা হয়েছে ।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ সোহেল রানার পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানব মোঃ শেখ শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পাবনা জজ কোর্টের আইনজীবীর সহকারী ও সমাজ প্রধান মোহাম্মদ আশরাফ আলী, খয়ের সুতি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ হেলাল উদ্দিন, কুলুনিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ আব্দুস সোবহান পান্না।
এছাড়া মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন, মুকুন্দপুর গ্রামের সমাজ প্রধান মোঃ ইউসুফ আলী প্রামানিক, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, গৃহিণী মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা, মোছাঃ দোলা খাতুন প্রমোখ ।
বক্তারা বলেন, মাদক মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ গড়তে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে । যারা মাদকাসক্ত তারা সমাজ ও দেশের শত্রু, এ ধরনের কাজের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তারা আরো বলেন চাঁদাবাজ, লুটতারাজ, জমি দখল ও মসজিদের খাদেম শরীয়তুল্লাহকে হত্যাচেষ্টার সাথ যারা জড়িত, তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সমাজ প্রধান মোঃ আজিজুর রহমান, মোঃ রাকিবুল ইসলাম, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ রেজাউল শেখ, মোঃ নবাব আলী মন্ডল , মোঃ ইবাদত হোসেন মালিথা সহ এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শত শত নারী পুরুষ এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় মোঃ নজরুল ইসলামের জামাই মোঃ জিয়াউর রহমান বাড়িতে কোন লোক না থাকায়, ওই বাড়িতে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মাদক সেবন সহ অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে। এর প্রতিবাদ করায় গত ১৮ মে রাত্রি আনুমানিক ১১ টার সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী ধারালো চাপাতি, চাকু, লোহার রড, লাঠি সোটা নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে, খয়েরসুতি জামে মসজিদের খাদেম শরীয়তুল্লাহকে পাইয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। খাদেম শরীয়তুল্লাহ গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় সন্ত্রাসীদের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে শরীয়তুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো চাপাতি দিয়ে পিছন থেকে মাথায় কোপ মারলে পাছা ডানপাশে লাগিয়া গুরুতর যখন হয়। বাকি সন্ত্রাসীরা লোহার রড এবং লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাথারী এভাবে মারতে থাকে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় । খাদেম শরীয়তুল্লাহকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে পাবনার সদর থানায় একটি এজহার দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply