নেত্রকোনার বারহাট্টায় অবসরপ্রাপ্ত দম্পতির বাড়িতে চুরি, মামলা নিতে নারাজ ওসি!
স্টাফ রিপোর্টার:
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সফর বাংলা এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত এক দম্পতির বাড়িতে গভীর রাতে সংঘটিত চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী আতাউর রহমান অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিনের শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় একাধিক কুখ্যাত ব্যক্তি এই চুরির সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় থানায় একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও পুলিশ মামলা নিতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আতাউর রহমান জানান, তিনি এবং তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা । উভয়ে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে বসবাস করছেন। দুই ছেলে কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন।
এজাহারভিত্তিক অভিযোগে আতাউর রহমান উল্লেখ করেন, ১৭ মে ২০২৫, দিবাগত রাতের আঁধারে রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রাশিদসহ আরও ৩–৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার বাড়ির কক্ষের টিন খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তারা ড্রয়ারের তালা ভেঙে ১টি দুই ভরির স্বর্ণের চেইন, ১ জোড়া আট আনার স্বর্ণের কানের দুল, ২ জোড়া আট আনার ব্রাঞ্চের চুড়ি, নগদ ৫০,০০০ টাকা নিয়ে যায়।
আতাউর রহমান জানান, ফজরের নামাজের সময় তিনি ঘুম থেকে উঠে দরজা খোলা দেখতে পান এবং দরজার সামনে গিয়ে দাড়ালে অভিযুক্তদের পালিয়ে যেতে দেখেন। তিনি আরও বলেন, রফিকুল ইসলাম পূর্ব থেকেই তার প্রতি শত্রুতাপূর্ণ আচরণ করে আসছে এবং জমি ও ফিসারিজ সংক্রান্ত নানান ধরনের ক্ষতি করে আসছে।
অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার এক সপ্তাহ আগে থেকেই রফিকুলের বাড়িতে অপরাধী প্রকৃতির লোকজনের আনাগোনা দেখা যায়। তারা রাতের বেলায় আতাউর রহমানের বাড়ির চারপাশে ঘোরাঘুরি করত।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এজাহার দায়েরের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। গত দুই দিনে বার হাট্রা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অসি) পাঁচ থেকে সাতবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আজ ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি,এমনটাই জানান ভুক্তভূগি আতাউর রহমান, আতাউর রহমান ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা ও হতাশায় ভুগছেন।
স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছেন, এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আলোচিত। তবে প্রশাসনের উদাসীনতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
আতাউর রহমান প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply