জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবিগুলো সরকারকে মেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, জবির শিক্ষার মানউন্নয়নে, জমি ও হল উদ্ধারের সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে বিগত তিন দিনের ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
আজ ১৬ই মে ২০২৫ ই সকাল ১১ টায় ঢাকার মতিঝিলের একটি হোটেলে মুক্তিজোটের নেতা কর্মীদের সাথে
মতবিনিময় সভায় এ দাবি করেন সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না।
সভায় সরকারকে রাখাইনদের
মানবিক করিডোর দেওয়ার নৈতিক সিদ্ধান্তের ইতি টানার দাবি করে তিনি প্রশ্ন তুলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার জনগণের সাথে আলোচনা না করে কোন অধিকার বলে মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশেই আমাদের নৌ ও সেনা ঘাটি।
এ সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। নির্বাচিত সরকার ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এমন সিদ্ধান্ত দেশের জন্য বুমেরাং। তিনি আরো বলেন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও গণমানুষের রায় উপেক্ষা করে মানবিক কড়িডোর ও বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত এই সরকারকে রাজনৈতিক দল ও জনগণের মুখোমুখি করবে।
যেখানে গণমানুষের চাওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের ভুমিতে ফেরাতে ভুমিকা রাখবেন তা না করে এই সরকারের আমলে আমরা দেখলাম আরো ১লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করলেন। নির্বাচন কমিশন এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় রোহিঙ্গারা এখন শুধু চট্টগ্রাম বিভাগে নয় পঞ্চগড় থেকেও এনআইডির আবেদন করছে যা দেশের জন্য চরম ভিতিকর।
সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন যে ছাএ- জনতার রক্তের উপর আপনারা দাড়িয়ে আছেন তাদের এখন পর্যন্ত যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্হা করতে পারেনি। চিকিৎসা জন্য আহতদের রাস্তায় দাড়াতে হচ্ছে। আইন শৃঙ্গখলার দিনকে দিন অবনতি হচ্ছে। মব জাস্টিস বাড়ছে। আপনারা এগুলোর দিকে দৃষ্টি দেন। আগে নিজের দেশ বাঁচান তা না হলে জনগন আপনাদেরও বিগত প্রতিত সরকারের মত অবস্থা করবে।
সভায় মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজামাল আমিরুলের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য মো: মজিবুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহেল আহমেদ সোহেল,কার্যনির্বাহী সদস্য (দপ্তর) উত্তম কুমর ঘোস, শ্রমিক মুক্তিজোটের আহবায়ক মো: রাসেদুল ইসলাম খোকন, যুব মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মো: আব্দুল আউয়ালসহ আগামী নির্বাচনের প্রাথীগণ ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন
Leave a Reply