ইমন রহমান, নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
এ বছর রবি মৌসুমে নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের বাগড়া ব্লকের রায়বাগড়া গ্রামে প্রায় ১ একর জমিতে কৃষক উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বিনা চাষে সরিষার আবাদ হয়েছে। এ পদ্ধতিতে রোপা আমনের সাথী ফসল বা রিলে ফসল হিসেবে বারি সরিষা-১৪ চাষ করা হয়। আমন ধান কর্তনের ২-৩ সপ্তাহ আগে মাটিতে সামান্য রস থাকা অবস্থায় সরিষার বীজ ছিটিয়ে দেয়া হয়। ২-৩ সপ্তাহ সময় পর সরিষার বীজ অঙ্কুরোদগম করে চারায় পরিনত হয় এবং একই সাথে জমিতে দণ্ডায়মান রোপা আমন ধানও পরিপক্ব অবস্থায় কর্তনের উপযুক্ত হয়। আমন কেটে দ্রুত মাঠ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। ধান সরিয়ে নেয়ার পর সাথী ফসল সরিষার জমিতে খৈল ভেজানো পানি, সামান্য পরিমাণে টিএসপি ও এমওপি সার ছিটিয়ে দিলে সরিষার গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। এ পদ্ধতিতে সরিষা চাষে সরিষার ফলনেও তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। রায়বাগড়া গ্রামে বিনা চাষে রোপা আমনের রিলে বা সাথী ফসল হিসেবে চাষ কৃত বারি সরিষা-১৪ কর্তনের পর ফলন পাওয়া গেছে ১.৫ টন/হেক্টর। উপজেলা কৃষি অফিসার, নেত্রকোনা সদর কৃষিবিদ রাখী পোদ্দার বলেন,“ শুধু বাগড়া ব্লকেই নয়, চলতি বছর নেত্রকোনা সদর ঊপজেলার বেশিরভাগ ব্লকেই বিনা চাষে সরিষার আবাদ শুরু হয়েছে। অনেক কৃষক ভাই বোরো ধান চাষে বিলম্ব হওয়ার ভয়ে একই জমিতে রোপা আমন ধান কর্তনের পর সরিষা চাষ করতে চান না। অথচ, বিনা চাষে রিলে ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ করলে কৃষক ভাইদের সময় ও অর্থ দুইয়েরই অপচয় কমবে।
আগামী বছর এ পদ্ধতিতে সরিষার আবাদ কৃষক ভাইদের মাঝে আরো জনপ্রিয় হবে বলে আশা করা যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ময়মনসিংহ অঞ্চলের সম্মানিত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. সালমা লাইজু রায়বাগড়া গ্রামের বিনা চাষে সরিষা আবাদের প্লট পরিদর্শন করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন।
Leave a Reply