সাব্বির হোসেন।
খুলনার তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ ধারী, এ বি এম আলমগীর শিকদার। ২০১৬ সালে সাচিয়াদাহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন তবে জিততে পারেননি।
২০২১ সালে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, এ বি এম আলমগীর সিকদার, কিন্তু তিনি পরাজিত হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কারণে তাকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।
সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল ২০২৫ গঠিত ওই কমিটিতে ৫নম্বর সদস্যের পদ পেয়েছেন আলমগীর শিকদার। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ২০২৬ সালে পরবর্তী ইউপি নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতবছর থেকেই স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন শুরু করেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পুরোপুরি বিএনপিতে ভিড়ে যান।
ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবুল বাশার বলেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে আলমগীর সিকদার বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। তার বাড়িতে ৩ উপজেলার বিএনপির নেতারা দাওয়াতও খেয়েছেন। তবে কমিটিতে তার নাম কে দিয়েছে আমি জানি না।
তবে সাচিয়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আলমগীর আগে কখনো বিএনপির সঙ্গে ছিল না। ৫ আগস্টের পর অনেকের সঙ্গে সেও নতুন বিএনপি হয়েছে।
সাচিয়াদাহ ইউনিয়নের স্থানীয় বিএনপি’র নেতারা বলেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন আলমগীর শিকদার। বিএনপির যারা নির্যাতিত হয়েছেন, অনেকেই কমিটিতে পদ পায়নি। এর চেয়ে কষ্টের কিছু হতে পারে না।
এ ব্যাপারে এ বি এম আলমগীর শিকদার বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলাম না। একটা সিস্টেম করে নৌকা প্রতীক পাই। কিন্তু আমাকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়। গত ৩-৪ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আছি। প্রকাশ্যে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছি। এজন্য হয়তো আমাকে কমিটিতে রেখেছে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী কাওছার আলী বলেন, ভুল করে তার নাম চলে এসেছে। তাকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply