1. lifemedia766@gmail.com : admin : Badsah Deoan
  2. aglovelu99@gmail.com : Ag Lovelu : Ag Lovelu
  3. infocrime24@gmail.com : info crime24 : info crime24
  4. crimereport24@gmail.com : Crime Report : Crime Report
  5. musasirajofficial@gmail.com : Musa Asari : Musa Asari
  6. crime7775@gmail.com : Ariful Islam : Ariful Islam
  7. nurealomsah@gmail.com : Nure Alom Sah : Nure Alom Sah
১৫ বছর পর আজ বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক - Crime Report 24
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষার অগ্রগতি ও উন্নয়ন শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় অসহায় গৃহহীনের জন্য ঘর নির্মাণ’র চাবি হস্তান্তর ও খাদ্য সহায়তা প্রদান আমতলীতে তালাকের তথ্য গোপন করে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, আদালতে মামলা! কলাপাড়ায় শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার হামলায় গুরুতর আহত-৩ পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং বরিশালের উন্নয়ন ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্র ধামরাইয়ে সেলফি পরিবহনের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত আপেলের পাহাড়ে নতুন লুকে শাবনূর ময়মনসিংহ সিপিএসসি, র‍্যাব-১৪ কর্তৃক মাদকসহ ০১ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কালিয়াকৈরে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব সহ দুই শিক্ষকে অব্যাহতি পাবনা ৪- আসনের জামায়াতে মনোনিত এমপি পার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের গণসংযোগ

১৫ বছর পর আজ বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক

  • প্রকাশকাল: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ক্রাইম রিপোর্ট ডিজিটাল ডেস্ক

প্রায় দেড় দশক পর স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তান উদ্যোগী হয়েছে; আর ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী বাংলাদেশও। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠেয় ওই বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশের ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ তাঁর দেশের নেতৃত্ব দেবেন। গতকাল বুধবার আমনা বালুচ ঢাকায় এসেছেন।

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আবহ তৈরি হলেও দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের বিষয়টি আলোচনায় আছে। সাবেক ও বর্তমান কূটনীতিকেরা মনে করেন, বড় পরিসরে সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সুযোগের পাশাপাশি ইতিহাসের পুনর্মূল্যায়নও গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ঢাকা-ইসলামাবাদের সম্পর্কের বাঁকবদলের ওই পর্বে রাজনীতি, বাণিজ্য, জনপরিসরে যোগাযোগ, প্রতিরক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে মনোযোগ থাকা জরুরি।

দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ের পাশাপাশি মন্ত্রী পর্যায়ের সফরবিনিময় বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম পাকিস্তানে বৈঠক আয়োজন করলে তাতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ, থেমে থাকেনি ব্যবসা-বাণিজ্য। আবার প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে অব্যাহত থেকেছে সহযোগিতা।

টানাপোড়েনের মধ্যে ব্যবসার প্রবাহ মোটামুটি ঠিক থাকা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অব্যাহত থাকা, উচ্চপর্যায়ে না হলেও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের সফর ইত্যাদি সরকারের নীতিনির্ধারকদের মতামত ছাড়াই হয়েছে, এমনটা ভাবার অবকাশ নেই। যদিও ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিজেদের জন্য সহায়ক ধরে নিয়ে গত আট মাসে নানা পরিসরে যোগাযোগ ও উদ্যোগে সক্রিয় পাকিস্তান; কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়জুড়ে স্থবির আর টানাপোড়েনের মধ্যে আটকে ছিল, হুট করে তাতে গতির সঞ্চার কতটা টেকসই হবে, সেটি বিবেচনায় নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন বর্তমান ও সাবেক কূটনীতিকেরা।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে বিবেচনায় নিলে, ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হলে একাত্তরের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান জরুরি। অমীমাংসিত বিষয়গুলো হচ্ছে: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যার জন্য দেশটির নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা, অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে বাংলাদেশের প্রাপ্য প্রায় চার বিলিয়ন ডলারের সমাধান। বাংলাদেশের এই দাবির মধ্যে তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের অর্থ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ১৯৭০ সালে ভোলার ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বিদেশ থেকে আসা ত্রাণসহায়তার ২০০ মিলিয়ন ডলার।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কি অমীমাংসিত বিষয়গুলো সরিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে জোর দিচ্ছে? নাকি বাংলাদেশ বিষয়গুলো তুলবে না? বিশেষ করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তান উৎসাহী। ধারণা করা হয়ে থাকে, ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্য বড় ভূমিকা ছিল দিল্লির। ভারতকে অসন্তুষ্ট করে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়নি বাংলাদেশ।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কি অমীমাংসিত বিষয়গুলো সরিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে জোর দিচ্ছে? নাকি বাংলাদেশ বিষয়গুলো তুলবে না?

এমন এক প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এই প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, একাত্তরের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর রাতারাতি সমাধান হয়ে যাবে, এমনটা আশা করা বাড়াবাড়ি। তাই বলে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইস্যু বাদ দিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নেবে, এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। কাজেই ইতিহাসের পুনঃপাঠের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যসহ ইস্যুভিত্তিক সহযোগিতায় আগ্রহী বাংলাদেশ।

তবে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক নিয়ে অতীত ও বর্তমানে কাজ করেছেন, এমন কয়েকজন কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া যায় যে বাংলাদেশ অমীমাংসিত তিনটি বিষয়ের চূড়ান্ত সমাধানের কথা বললেও পাকিস্তান এ সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। আর ২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর আর কোনো আলোচনা না হওয়ায় বাংলাদেশ এ বিষয়গুলো উত্থাপনের সুযোগ পায়নি। এ প্রেক্ষাপটে ঢাকায় আজ দুই পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়গুলোকে আবার সামনে আনার সুযোগ পেল।

একাত্তরের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর রাতারাতি সমাধান হয়ে যাবে, এমনটা আশা করা বাড়াবাড়ি। তাই বলে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইস্যু বাদ দিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নেবে, এমনটা ভাবার সুযোগ নেই-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

ব্যবসা-বাণিজ্য

বাংলাদেশের সরকারি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্য আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৯১৯ মিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৫৬ মিলিয়ন ডলারে। কিন্তু আর্থিক মন্দার কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ আবার কমে যায়।

পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানির কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এর পাশাপাশি খাদ্যশস্যের সংকট দেখা দিলে তা সংগ্রহের অন্যতম উৎস হয় পাকিস্তান। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট, চা, কাঁচা ও কিছুটা প্রক্রিয়াজাত চামড়া এবং হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড আমদানি করে পাকিস্তান।

কূটনীতিকদের মতে, দুই দেশের অর্থনীতির আকার, বাজার ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় নিলে যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের আকার বাড়ার কথা, সেভাবে হয়নি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে দুই পক্ষের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও শুল্কের উচ্চ হার, অশুল্ক বাধা, ভিসার ওপর বিধিনিষেধ বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে।

অতীতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসা সব পণ্য সব শুল্ক স্টেশনে শতভাগ কায়িক পরিদর্শনের বিধান ছিল। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ওই বিধান প্রত্যাহার করা হয়। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। পাশাপাশি দুই দেশ আগস্টের পর থেকে ভিসার ওপর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। ফলে শুল্কের প্রক্রিয়া সহজতর করা, শুল্ক কমানো এবং দুই দেশ ব্যবসা-সংক্রান্ত বিধিবিধানে সমন্বয় আনতে পারলে বাণিজ্য বাড়ার পথ সুগম হতে পারে।

পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানির কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এর পাশাপাশি খাদ্যশস্যের সংকট দেখা দিলে তা সংগ্রহের অন্যতম উৎস হয় পাকিস্তান। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট, চা, কাঁচা ও কিছুটা প্রক্রিয়াজাত চামড়া এবং হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড আমদানি করে পাকিস্তান।

প্রতিরক্ষা

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের সহযোগিতার একটি ক্ষেত্র প্রতিরক্ষা খাত। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের টানাপোড়েনের পর্বেও এ খাতের দক্ষতা বাড়ানো এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত ছিল। বিশেষ করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নানা স্তরের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সৈনিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে পাকিস্তান। ২০২১ সালের পর শুধু এক বছরে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানে অন্তত ৮০টি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে শুধু ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এবং স্টাফ কোর্সে অংশ নিয়ে থাকেন। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য পাকিস্তান থেকে গোলাবারুদ ও সামরিক সফটওয়্যার কেনা হয়েছে। পাকিস্তান কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে বিশেষায়িত কিছু সমরাস্ত্র বিক্রির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে।

কূটনীতি-বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিকভাবে প্রায় ১৫ বছর বিরতি শেষে ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠক সম্পর্ককে স্বাভাবিক করে এগিয়ে নেওয়ার পথ সুগম করবে; কিন্তু এই সম্পর্ক টেকসইভাবে এগিয়ে নিতে হলে দুই দেশেরই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে প্রস্তুতি নেওয়াটা বাঞ্ছনীয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরণের অন্যান্য নিউজ