শারমিন সরকার বৃষ্টি
খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি::
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈ-সা-বি-কে ঘিরে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় আনন্দের রং ছড়িয়ে পড়েছে। উৎসবের জোয়ারে ভাসছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ি।
মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য সাংগ্রাইং র্যালি ও জলকেলি বা জলোৎসব। সকালে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ক্যং ফুল পূজার মধ্য দিয়ে সাংগ্রাই উৎসবের সূচনা হয়। সাংগ্রই উৎসব উপভোগ করতে খাগড়াছড়ি এসেছে বিপুল সংখ্যক পর্যটক।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে জেলা সদরের পানখাইয়াপাড়া বটতলায় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইং উৎসবের উদ্বোধ করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান। এর পর শুরু হয় বর্ণাঢ্য র্যালি। বর্ণিল সাজে হাজারো তরুণ-তরুণীর র্যালি শহরের প্রধান সড়ক ঘরে অংশ নেয়। পরে শুরু হয় সাংগ্রাইং-এর প্রধান ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা জলোৎসব ।
এ সময় জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, ডিজিএফআইয়ের অধিনায়ক কর্ণেল আতিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েলসহ সরকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা জলোৎসবে তরুণ-তরুণীরা একে অপরের দিকে পানি নিক্ষেপ করে উল্লাস প্রকাশ করে। মারমা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সকল দুঃখ-গ্লানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। সে সঙ্গে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে বেছে নেবে তাদের জীবন সঙ্গীকে।
এছাড়া উৎসব উপলক্ষে নানা খেলা-ধুলা, পিঠা উৎসব, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও ওপেন কনসার্টের আয়োজন করা হয়। বৈসাবি উৎসব উপভোগ করতে এ বছর খাগড়াছড়ি এসেছে দেশী-বিদেশী বিপুল সংখ্যক পর্যটক। তারা এ উৎসব দেখে অভিভূত।
খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর অবস্থান। সকলে মিলে আমরা একটি পরিবারের অংশ, সেটি হলো আমাদের বাংলাদেশ। পাহাড়ে শান্তি বয়ে আসুক।
Leave a Reply