স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সমন্বয়কারী চিরন্তন চিরু সভাপতিত্বে , নির্বাহী সমন্বয়কারী মোঃ মোরশেদুল আলম সঞ্চালনায়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উত্তর জেলার সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন তালুকদার, নির্বাহী সমন্বয়কারী ইন্জি. জাহিদুল আলম, মহানগর সংগঠক নুরুন নেচ্ছা মুন্নি, মোঃ সোহাগ, সাহাবু উদ্দিন খাঁন, মোঃ মামুন, ছাত্র ফেডারেশনের নেতা আরিফুল হক আরিফ, শওকত ওসমান তৌকির, পালাশ দে ও বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সব দঙ্গলবাজির ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত রহস্যময় এবং নীরব। তাদের এই রহস্যজনক নীরবতা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং হতাশাব্যাঞ্জক। এটি আমাদের স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, সরকার চায় গণমাধ্যম আতঙ্কে থাকুক এবং কথা না বলুক।
গতকাল রাতে ছায়ানট, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের মতো প্রতিষ্ঠানের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ চালানো হয়েছে। শরিফ ওসমান হাদীর মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের মানুষ শোকাহত ছিল এবং বিচার দাবি করছিল, কিন্তু সেই শোককে ছাপিয়ে একদল দঙ্গলবাজ পরিকল্পিতভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে যাদের এই হামলায় দেখা গেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা কোনো হিংসা-প্রতিহিংসা রাজনীতি চাই না, কিন্তু বাংলাদেশকে যারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের কঠোর বিচার চাই।
এই ধরনের সহিংসতা এবং অস্থিতিশীলতা আগামী নির্বাচনকে একটি বড় হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। যারা শেখ হাসিনার কায়দায় আবারও বাংলাদেশকে বিভাজন করার চেষ্টা করছে এবং সহিংসতা উসকে দিচ্ছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে। একদল উগ্র দঙ্গলবাজরা বাংলাদেশকে দখল করে নিয়েছিল। সরকারের কোন তৎপরতা আমরা দেখিনি। নূরুল কবীরের মতো মানুষকে কালকে দঙ্গলবাজদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তার মতো মানুষের ওপর হামলা থেকে বোঝা যায়, তারা কোনো নিরীহ ক্ষুব্ধ জনতা না, তারা একটা সংগঠিত অংশ। এই সংগঠিত অংশ কীভাবে সামনের দিনে বাংলাদেশকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে, সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক হওয়া দরকার।
Leave a Reply