এম রাসেল সরকার-ঢাকা:
বিশ্ব লায়ন্স সার্ভিস মাস উপলক্ষে লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫ বি১, বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ২১ নভেম্বর ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় এক বর্ণাঢ্য, সুশৃঙ্খল এবং উৎসবমুখর গ্র্যান্ড র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানবতার সেবা, সম্প্রদায় উন্নয়ন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে আয়োজিত এই র্যালিতে ৫০০–এর বেশি লায়ন এবং লিও সদস্য অংশগ্রহণ করেন। তারা নিজেদের ক্লাবের ব্যানার, রঙিন সাজসজ্জা, থিমভিত্তিক প্রদর্শনী এবং অনন্য উপস্থাপনার মাধ্যমে লায়নিজমের চেতনাকে বহন করে র্যালিটিকে এক বিরল উৎসবে রূপ দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা গভর্নর লায়ন ড. এ. কে. এম. সারোয়ার জাহান জামিল এমজেএফ। তার উপস্থিতি র্যালিকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ফার্স্ট লেডি লায়ন রোজিনা শাহীন মুনা, ফার্স্ট ভাইস ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন ড. খন্দকার মাজারুল আনোয়ার এমজেএফ, তাঁর সহধর্মিণী লায়ন আসমা আক্তার, সেকেন্ড ভাইস ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন রফিকুল বারী এমজেএফ, ডি.জি. অনারারি কমিটির চেয়ারপার্সন পিডিজি হাবিবুর রহমান পিএমজেএফ, লিও স্ট্যান্ডিং কমিটির চিফ অ্যাডভাইজর পিডিজি মোস্তফা কামাল এমজেএফ, পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর হেলেন আক্তার নাসরিন পিএমজেএফ, দেওয়ান নাসিরুল হক পিএমজেএফ, শাহানা রহমান এমজেএফ, এমডি. লুত্ফর রহমান এমজেএফ, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি লায়ন তানভীর আহমেদ, ক্যাবিনেট ট্রেজারার লায়ন মো. আবু বকর সিদ্দিক, এবং ওয়ার্ল্ড লায়ন্স সার্ভিস কমিটির চেয়ারপার্সন লায়ন মীর শফিকুল আলম কনক এমজেএফ।
গ্র্যান্ড র্যালির মূল সাফল্যের পিছনে ছিল গ্র্যান্ড র্যালি কমিটির সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম, পরিকল্পনা এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা। কমিটির চেয়ারপার্সন লায়ন শিরিন আখতার রুবি, সেক্রেটারি লায়ন মামুন আহাম্মদ, ট্রেজারার লায়ন আনোয়ার হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি লায়ন নাসিমা আলম, জয়েন্ট ট্রেজারার লায়ন ইয়াসরিব হাসান, এবং লিও জেলা সভাপতি লিও অরিত্র রহমান দিনরাত কাজ করে র্যালিটিকে সফল করতে অবদান রাখেন।
৫০টিরও বেশি সাজসজ্জাময় মোটরযান নিয়ে র্যালিটি আগারগাঁওয়ের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। স্লোগান, ব্যানার এবং মানুষের উৎসাহে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। পথচারী এবং দর্শনার্থীরা র্যালির দৃশ্য উপভোগ করেন এবং লায়নিজমের স্লোগান—”We Serve”—কে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করেন।
র্যালির সমাপ্তি হয় আগারগাঁওয়ের লায়ন্স ভবনে এক মনোমুগ্ধকর সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সেখানে জেলা গভর্নর সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন যে, “মানবতার সেবা আমাদের পরিচয়, এবং এই র্যালি আমাদের ঐক্য, উদ্যম ও মানবিকতার প্রতীক।”
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের জন্য পরিবেশিত হয় প্রাতঃরাশ এবং আড্ডা। সার্বিকভাবে র্যালিটি সামাজিক অংশগ্রহণ, নেতৃত্ব ও সেবামূলক কর্মসূচি সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Leave a Reply