1. lifemedia766@gmail.com : admin : Badsah Deoan
  2. aglovelu99@gmail.com : Ag Lovelu : Ag Lovelu
  3. infocrime24@gmail.com : info crime24 : info crime24
  4. crimereport24@gmail.com : Crime Report : Crime Report
  5. mehedyhasan321m@gmail.com : Mehedy Hasan : Mehedy Hasan
  6. musasirajofficial@gmail.com : Musa Asari : Musa Asari
  7. crime7775@gmail.com : Ariful Islam : Ariful Islam
  8. nurealomsah@gmail.com : Nure Alom Sah : Nure Alom Sah
জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা - Crime Report 24
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সাঘাটায় ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন দীর্ঘ ২৫ বছর পর সম্পন্ন হলো ময়মনসিংহে ১৩৫ তম জাতীয় লালন তিরোধান দিবস পালিত ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালিগঞ্জ সড়ক নির্মাণে ধীরগতি দুর্ভোগ ময়মনসিংহে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ফুটবল (ছাত্র-ছাত্রী) ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈরে মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বীরগঞ্জে শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বানে জাকের পার্টির জনসভা ও র‍্যালি পাঁচবিবিতে ধান নষ্টে থানায় অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন খাগড়াছড়িতে বাস উল্টে দুইজন নিহত, আহত অন্তত ২০ প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান চায় বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) হযরত আব্দুস ছমদ ফকির আল মাইজভাণ্ডারী (রহঃ)’র ৩৩তম ওরশ শরিফ ১৮ অক্টোবর শনিবার আজ কর্ণফুলীতে গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠান

জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

  • প্রকাশকাল: বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ’ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ‘কঠোর পরিশ্রম’ করছে, যাতে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়।

“আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং ক্ষমতার প্রকৃত মালিক—জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” বলেন তিনি।

বাসস জানায়, বুধবার কুয়ালা লামপুরে মালয়েশিয়া ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকেএম) থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি নেওয়ার পর দেওয়া বক্তৃতায় নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
ইউকেএম বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে এক আনন্দমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও নেগেরি সেমবিলান দারুল খুসুস রাজ্যের সুলতান তুংকু মুহরিজ ইবনি আলমারহুম তুংকু মুনাওয়িরর কাছ থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রির সনদ নেন ইউনূস। ‘সামাজিক ব্যবসা প্রসারে অনন্য অবদানের’ স্বীকৃতিতে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “এই স্বীকৃতি আমাকে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণে আমার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। গত বছর বাংলাদেশের বহু তরুণ সাহসিকতার সঙ্গে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। শত শত ছাত্র-যুবক একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে, যেখানে প্রত্যেকে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারবে এবং ভয়, বৈষম্য ও অবিচার থেকে মুক্ত থাকবে।”

অন্তর্বর্তী সরকার সেই ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে কাজ করছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই ও অগাস্ট মাসে তরুণদের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় পরিচয় ও ভবিষ্যত আশার নতুন অর্থ তৈরি করেছে।
“আজ আমরা এক নতুন বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি, যেখানে শাসনব্যবস্থা হবে ন্যায়সঙ্গত, অর্থনীতি হবে সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রত্যেকে সমান সুযোগ পাবে সফল হওয়ার জন্য। আমাদের সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগী রয়েছে।”

সরকার নির্বাচনের আগে সংস্কারকে ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ দিচ্ছে জানিয়ে ইউনূস তার বক্তৃতায় বলেন, “একটি শক্তিশালী ও টেকসই বাংলাদেশ গড়তে আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে উদ্যোক্তাদের সহায়তা, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে বেশি বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমরা আগামী দিনের নির্মাতা। তোমাদের ভাবনা, সৃজনশীলতা এবং দায়িত্ববোধ শুধু মালয়েশিয়ার নয়, সমগ্র বিশ্বের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।
“স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে গিয়ে সবসময় মনে রেখ, প্রকৃত সাফল্য শুধু নিজের জন্য অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং কীভাবে তুমি অন্যদেরও তোমার সঙ্গে উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছ, সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে সেরা উত্তরাধিকার রেখে যেতে পারি–তা হলো এমন এক পৃথিবী, যেখানে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা হবে না।”

ইউনূস বলেন, “তোমাদের সিদ্ধান্ত, কাজ এবং মূল্যবোধই নির্ধারণ করবে আমরা কোথায় যাব। তাই আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, বড় স্বপ্ন দেখ, সাহসীভাবে চিন্তা কর, এবং সে অনুযায়ী কাজ করো। ভয় পেও না, প্রত্যেক ব্যর্থতাই সাফল্যের পথে একটি ধাপ মাত্র।”

তার ভাষায়, পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রকৃত নেতার, প্রয়োজন সমস্যা-সমাধানকারীর।

“তোমাদের প্রত্যেকের ক্ষমতা রয়েছে অসাধারণ কিছু করার, মানুষের সেবায় ব্যবসা গড়ে তোলার, জীবন বদলে দেওয়ার মত নতুন ধারণা সৃষ্টির, অথবা এমন নীতি প্রণয়নের, যা গোটা একটি সম্প্রদায়কে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূস বলেন, “আজকের অন্যতম বড় বিপদ হল—সম্পদ ক্রমশ কয়েকজন মানুষের হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। এর ফলে বৈষম্য ও অবিচার সৃষ্টি হয়। আমাদের যা দরকার, তা হল একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি—যেখানে সম্পদ ন্যায্যভাবে ভাগ হবে এবং প্রত্যেক মানুষ মর্যাদা ও লক্ষ্য নিয়ে বাঁচার সুযোগ পাবে।”

নিজের কর্মময় জীবনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করা থেকে শুরু করে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালু করা থেকে সামাজিক ব্যবসার প্রচার—একটি বিশ্বাস সবসময় আমাকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে, মানুষ প্রতিভা বা স্বপ্নের অভাবে দরিদ্র হয় না, তারা দরিদ্র হয় কারণ সমাজ তাদের ন্যায্য সুযোগ দেয়নি।

“আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা ধনীদের সেবা করার জন্য গড়ে উঠেছে, গরিবদের জন্য নয়। এই সহজ সত্যই আমাকে ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমি এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছি, যেখানে সবচেয়ে দরিদ্র মানুষও ক্ষুদ্রঋণ পেতে পারে, ব্যবসা শুরু করতে পারে এবং নিজের জীবন বদলে দিতে পারে।”

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশ সবসময়ই মজবুত সম্পর্ক উপভোগ করেছে, যা গড়ে উঠেছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং উন্নতির যৌথ স্বপ্নের ওপর ভিত্তি করে।

“বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া অনেক পথ একসঙ্গে হেঁটেছে। আমরা পরস্পরের সমৃদ্ধির পথে সহযোগিতা করেছি। মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে মালয়েশিয়া আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে। বছরের পর বছর ধরে আমাদের অংশীদারত্ব বাণিজ্য, শিক্ষা, উদ্ভাবন ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কসহ বিস্তৃত হয়েছে নানা ক্ষেত্রে। এটা প্রমাণ করে, আমরা যখন একটি যৌথ উদ্দেশ্যে একসঙ্গে কাজ করি, তখন কত কিছু অর্জন করা সম্ভব।”

মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রত্যয় জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ এখন এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে, আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা আরও গভীর করতে চাই। সম্ভাবনাময় অনেক ক্ষেত্র রয়েছে—যেমন সেমিকন্ডাক্টর শিল্প, হালাল অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন। একসঙ্গে আমরা এমন এক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি, যা হবে সমৃদ্ধ, উদ্ভাবনী, স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক।”

সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়ায় মালয়েশিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “আমি গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে এ সম্মাননা গ্রহণ করছি এবং আমাদের দুই মহান জাতির মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করার জন্য নতুন করে অঙ্গীকার করছি। আমি পারস্পরিক শিক্ষা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করি, যাতে আমরা একসঙ্গে এমন এক বিশ্ব গড়তে পারি, যেখানে প্রত্যেক মানুষ, তার পটভূমি যাই হোক না কেন, নিজের সামর্থ্য বিকশিত করার সুযোগ পাবে।”

অন্যদের মধ্যে মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী জাম্ব্রি আব্দুল কাদির ও ইউকেএম ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক সুফিয়ান জুসোহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরণের অন্যান্য নিউজ