মাইনুল ইসলাম রাজু, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী চিকিৎসক মোঃ শাহীন খানের হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বেলা ১১ টায় আমতলী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সাবেক ইউপি সদস্য ও নিহত শ্রমিকদল নেতা শাহীন খানের পিতা বিএনপি নেতা মো. ফরিদ খান মজনুর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা, যুগ্ম আহবায়ক মকবুল হোসেন খান, অ্যাডঃ মো. নাসির উদ্দিন তালুকদার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল বাশার, সদস্য সচিব মো. জালাল আহমেদ খান, বরগুনা জেলা শ্রমিকদল সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ রুহুল আমিন, আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো. জালাল উদ্দীন মৃধা, বরগুনা জেলা যুবদল নেতা , আমিনুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল বিশ্বাস, আমতলী সদর ইউনিয়ন যুবদল আহবায়ক ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ খান তাপস, শ্রমিকদল নেতা রিয়াদ খান, উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক মো.হেলাল চৌকিদার, সদস্য সচিব মো. ইমরান খান. নিহত শাহিন খানের ভাই তুহিন খান, শাহিন খানের স্ত্রী শিল্পী বেগম, ছেলে বায়েজিদ খান চয়ন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মর্জিনা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা শাহিন খানের মৃত্যু রহস্য উৎঘাটন করে হত্যা কারীদের দ্রুত বিচারের দাবী জানান।
নিহত শাহীন খাঁনের ছেলে বায়েজিদ খাঁন চয়ন বলেন, রবিবার রাতে খুঁড়িয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বসে কাজল মৃধা, ইসাহাক মৃধা ও সাহারুল পিটিয়ে নির্যাতন করে আমার পিতাকে হত্যা করেছে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, নিহত শাহীন খানকে খুরিয়ার খেয়াঘাটের একটি স্ব-মিলের ভাড়াটিয়া মালিক কাজল মৃধা রবিবার রাত আড়াইটার দিকে রোগী দেখার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নেয়। পরে আমতলী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের সাকিব খাঁনের বাসার পাশে নিয়ে কাজল মৃধা, ইসাহাক মৃধা, সাহারুলসহ ৮ থেকে ১০ জনে মিলে বেদম মারধর করে। তখন ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে নিহত শাহীন খাঁনের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সাকিব খাঁন বাহিরে বের হয়ে সড়কের ওপরে কাজল মৃধা, সাহারুল ও তার স্ত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে যায়। ওই সময় কাজল মৃধা শাহীন খাঁনকে লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে এবং লাথি মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দিতে দেখতে পায়। ওই সময় সাকিব খাঁন তাকে (কাজল) বাঁধা দেয়। স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় শাহিনকে উদ্ধার করে সোমবার সকালে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক হুমায়ুন আহমেদ সুমন রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে তিনি মারা যান।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হুমায়ূন আহমেদ সুমন বলেন, শাহীন খাঁনকে কিছু লোক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তার শরীর দুর্বল ছিল। মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। আমরা অবস্থা বেগতিক দেখে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। শুনেছি তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এই বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী সার্কেল) তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, চিকিৎসকের দেয়া মৃত্যু সার্টিফিকেট অনুসারে মরদেহের ময়না তদন্ত ও মামলা নেয়া হয়নি।
Leave a Reply