রঞ্জু, তুমি যেন প্রাচীন বট, একাকী দাঁড়ানো মাঠের মাঝে,
ই-কমার্সের ধূলিময় পথে, স্বপ্ন বুনছো রাতের সাঁঝে।
তাফসির ছিল তোমার শাখায় বাসা বাঁধা শ্যামলী পাখি,
তার কণ্ঠে ছিল সুর, যেন বাঁশি বাজে বসন্তের আঁখি।
কিন্তু সে পাখি উড়ে গেল, অন্য ডালে, অন্য আকাশে,
তোমার হৃদয়ে রেখে গেল শুধু শূন্যতার নিঃশব্দ হাসে।তার মুখ ছিল মেঘলা সন্ধ্যা, কখনো রঙিন, কখনো ধূসর,
চোখে ছিল স্বপ্ন, যেন দিগন্তে জ্বলে তারার নিঃসর।
কিন্তু সে স্বপ্ন বুনলো অন্য কারো সাথে, হুজুরের হাত ধরে,
ছয় মাস সে রাখলো দূরে স্বামীকে, যেন দ্বীপ একা সমুদ্র-পাড়ে।
তাফসির, তুমি যেন সেই ফুল, বাগানে ফুটেও অচেনা রয়ে,
রঞ্জুর হৃদয়ে শুধু বিষাদের ছায়া, নিভৃতে কাঁদে ক্ষয়ে।তবু রঞ্জু, তুমি বটগাছ, মূলে তোমার অটল প্রাণ,
ঝড়ে পাতা ঝরে, তবু ফিরে আসে নতুন সবুজের গান।
তাফসির গেল, তার হাসি গেল, গেল তার প্রেমের আলো,
কিন্তু তোমার শাখায় ফুটবে আবার নতুন ফুলের ভালো।
দাঁড়াও তুমি অটুট, যেন সূর্য ওঠে পুবের আকাশে,
নতুন প্রেম, নতুন স্বপ্ন, ফিরে আসবে তোমার পাশে।হৃদয়ে তোমার জ্বলুক আলো, রঞ্জু, বিষাদের রাত কেটে,
তাফসিরের বিদায় শুধু স্মৃতি, নতুন সকাল আসবে মেটে।
তুমি বটগাছ, তুমি অম্লান, তোমার শাখায় ফুটবে ফুল,
প্রেমের পথে হাঁটবে তুমি, ভুলে যাবে হৃদয়ের ক্ষণিক ভুল।
Leave a Reply