লেখা: মোঃ আবু মুসা আসারি
হে মা, তুমি প্রভাত-কিরণে উদ্ভাসিত স্বর্গের উষার বীণা,
তোমার স্নেহে জাগে ধরিত্রী, ফোটে কুসুম, মুখরিত কল্পলীনা।
তোমার দৃষ্টি শশী-শীতল, অমৃতধারা সিন্ধু-তীরে বহে,
তারি আলোয় পথিক-প্রাণে জাগে অনন্তের শাশ্বতী মোহে।তুমি সে সরসী, হে জননী, যেথা কমল মৃদু হাসি ছড়ায়,
তোমার কণ্ঠে সুধা-গীতিকা, পুষ্প-সৌরভে যেন মিলায়।
তোমার হাসি জ্যোৎস্না-লাবণ্য, বিশ্বের ধূলি করে আলোকিত,
তোমার মমতায় শ্যামলী ধরা, তারা-মণ্ডিত, কানন-মুগ্ধিত।হে মা, তুমি বিশাল বৃক্ষরাজি, শাখায় শাখায় ছায়া অপরিমিত,
ঝঞ্ঝার মুখে অটল তুমি, প্রাণে দাও অমৃতের সমাহিত।
তোমার কোলে শিশুর হাসি, যেন স্বর্গের স্বপ্ন-কুসুম ফোটে,
তোমার স্নেহে বাঁধা এ জগৎ, তুমি তারি চির-শান্তির নোটে।তুমি নদী, তুমি মহাসাগর, তুমি প্রেমের অকূল আরাধনা,
তোমার তীরে দাঁড়ায়ে আমি পাই হৃদয়ে শাশ্বতী প্রসাধনা।
তোমার গানে মুখরিত বিশ্ব, তারি সুরে প্রাণ মোর উদাসী,
হে মা, তুমি ধ্রুবতারা, তুমি আমার চির-অন্তরবাসী।কখনো তুমি মেঘমন্দ্রিত, কখনো শান্ত শর্বরীর সৌম্যতা,
তোমার ক্রোড়ে মিলায় দুঃখ, যেন তুষার গলে ফুলের মধুতা।
তুমি আদি, তুমি অন্তরীণ, তুমি সৃষ্টির প্রথম স্পন্দিত ধ্বনি,
তোমার চরণে শির নত করি, হে মা, তুমি আমার চির-জননী।হে বিশ্বমায়া, তুমি প্রেমের পরম ধাম, অমৃত-আলয়,
তোমার নামে জাগে প্রাণ, তোমার নামে হৃদয়ের পরিচয়।
তোমার কোলে শুয়ে আমি পাই, অনন্তের স্বপ্নের আলিঙ্গন,
হে মা, তুমি শাশ্বতী সত্ত্বা, তুমি আমার চির-অনুক্ষণ।তোমার পরশে বিশ্ব মুগ্ধ, তুমি সৌন্দর্যের চির-অভিষেক,
তোমার স্নেহে জীবন মোর হয়ে ওঠে অমলিন স্বপ্নলেখ।
হে জননী, তুমি স্বর্গ-গঙ্গা, প্রবাহিত প্রেমের অমৃত-ধারা,
তোমার তরে গীত রচি আমি, তুমি আমার চিরন্তনী তারা।
Leave a Reply