নীরবতম দুপুরে আমি দাঁড়াই এক প্রাচীন বটবৃক্ষের নীচে—
তার ডালপালা, বিস্মৃত ইতিহাসের মতো ছড়িয়ে পড়ে আকাশে
পাতার ফাঁকে ফাঁকে আলো পড়ে যেমন—
ভ্রান্ত কোনো মহাকাব্যের অসমাপ্ত বাক্য।
এই গাছ কি আমাকে চিনে?
আমি কি তারই কোনো পাতাঝরা শাখায় জন্মেছিলাম—
যখন কালের নাম ছিল না,
শব্দ ছিল না, ছিল কেবল আলো, ছায়া, ও মাটির মৃদু স্তব্ধতা?
হয়তো এই ছায়াতেই এক জন্মে আমি পাখি ছিলাম,
উড়তে শিখিনি—তবু বাতাসে রেখে গিয়েছিলাম নৈঃশব্দ্য,
যা আজও জেগে আছে ডালের গভীরে—
শুকনো ছাল আর মাকড়সার মর্মর কথায়।
আমি শুনি মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকা শিকড়ের আর্তনাদ—
কোনো এক প্রাচীন জন্মের মাতৃভাষায়
তারা আমাকে ডাকে—অলক্ষ্য কোনো নাম ধরে—
যা উচ্চারণ করলে বাতাস কেঁপে ওঠে,
পাতা দুলে ওঠে, আর আমি ফিরে যাই প্রথম নিঃশ্বাসে।
Leave a Reply