সুকুমার বাবু দাস, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট নির্মিতব্য মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি (পঞ্চগড়ে) স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। ১৮/৪/২০২৫ইং তারিখ শুক্রবার বেলা ২.৩০মি: আটোয়ারী উপজেলার সচেতন নাগরিক ফকিরগঞ্জ বাজার ত্রিমোহনী গোলচক্কর এর সামনে ওই মানববন্ধন করেন। এতে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি এর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ শাহজাহান আলী, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আরাফাত, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ রাসেল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক মোঃ আবু হাসান বাবু, জাতীয় নাগরিক কমিটি আটোয়ারী শাখার সদস্য নওশাদ উন নবী লিয়ন, সদস্য মোঃ রজিব রানা, ছাত্র অধিকার পরিষদ পঞ্চগড়ের সহ-সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘পঞ্চগড় জেলা সব সময়ই অবহেলিত। আমাদের পাশের জেলা- নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আছে, পঞ্চগড় থেকে এই জেলাগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে গুরুতর আহত একজন রোগী নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর বা দিনাজপুরে স্থানান্তর করা হয়। এতে পথেই অনেকের মৃত্যু হয়। আমরা আর কারও এমন মৃত্যু চাই না। এ জন্য এই জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল দ্রুত প্রয়োজন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি, পঞ্চগড়ের মানুষ এই মেডিকেল কলেজের সঠিক দাবিদার। চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পঞ্চগড়ে হলে ভুটান, নেপাল ও চীনের ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করতে এবং বিভিন্ন দেশ-বিদেশ থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসবে, সেই সাথে অবহেলিত পঞ্চগড়ের মানুষও বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবে।
বক্তারা আরও বলেন, ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল চীনের সহযোগিতায় এক হাজার শয্যার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পঞ্চগড়ে করেছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়াও ওয়েন। কিন্তু পাশের দেশের আপত্তিতে সেই নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। পঞ্চগড়ে শুধু ১২ একর জমি নয়, শত শত একর নির্ভেজাল জমি আছে। এই হাসপাতাল পঞ্চগড়ে করা না হলে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
Leave a Reply