শারমিন সরকার বৃষ্টি
খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি :::
খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব—বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, বিহু, সাংলান, পাতা, সাংক্রাই, সাংগ্রাইং, চাংক্রান ও বাংলা নববর্ষ—উদযাপন উপলক্ষে ৪ এপ্রিল ২০২৫ থেকে ৭ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত চারদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা রঙিন ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথির জিরুনা ত্রিপুরা বলে-
“এই বর্ণাঢ্য আয়োজন আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পারস্পরিক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন। কোমড় তাঁতের প্রদর্শনী পাহাড়ি নারীদের ঐতিহ্যবাহী বুননশিল্পকে নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করবে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বৈসু-বিজু-বিহু-বিষুসহ চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব শুধুই আনন্দের নয়, বরং এটি পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সহাবস্থান ও একতার প্রতীক। এই উৎসব আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলে এবং নতুন বছরের শুভ সূচনা করে।”
এই উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ঞ্যোহ্লা মং।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন -অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা ও জয়া ত্রিপুরা, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক প্রভাংশু ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শ্রীলা তালুকদার ও লেখক অংসুই মারমা। স্বাগত বক্তব্য দেন- খাগড়াছড়ি ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক জীতেন চাকমা।
চারদিনব্যাপী এই আয়োজনে রয়েছে—শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতা, কোমড় তাঁতের প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী, বৈচিত্র্যময় মেলা, উৎসব বিষয়ক আলোচনা সভা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
Leave a Reply