স্টাফ রিপোর্টার
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে সঠিক যাচাই-বাছাই করে তালিকাভুক্ত ও মুক্তিযোদ্ধার সনদ এবং সম্মানী ভাতা প্রদানের জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা। সঠিক নীতিমালায় যদি যাচাই-বাছাই করা হতো তাহলে এত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কি ভাবে হলো! কে বা কাহারা বানালো এতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। যাচাই-বাছাই করে নতুন ভাবে বাতিল করা হচ্ছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের, এখানেও কোটি কোটি টাকার খেলা! যারা বিগত দিনে এবং আজও পর্যন্ত কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন সেই কর্মকর্তাদের সঠিক যাচাই-বাছাই করার কি কোন প্রয়োজন ছিল না? তাহলে কিভাবে হলো এই দেশের সংস্কার। ৩০ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে যাদের কারণে আজকে আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি। আর আজ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন তারা,করছে প্রতিনিয়ত অপমান অপদস্থ । কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা। তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে।থলের বেড়াল বেরিয়ে এলো,যাচাই-বাছাই কমিটি সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কর্মচারী, পিয়ন ও ড্রাইভার এরা সবাই একটা সিন্ডিকেট, এই সিন্ডিকেট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বানিয়েছেন হাজারো হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা । কোটি কোটি টাকার ধনসম্পদের পাহাড় , কোন অভিযোগ দিলে কেউ ব্যবস্থা নেন না কেননা সিন্ডিকেটের ও একজন প্রধান আছেন। অভিযোগ করলে অভিযোগ সম্মানে শহীদ রিসিভ করে, রেখে দিবেন । অভিযোগ দেবার কিছুদিন পরে জানতে চাইলে জানাবেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ঘুরতে ঘুরতে এক সময় অভিযোগকারী ,থেমে যাবেন বা থেমে গিয়েছেন অনেকেই। যে সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভিযোগ বিগত দিনের ফ্যাসিস সরকারের আমল থেকে বর্তমানেও তারা আছেন তাদের অভিযোগের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরীর মহোদয়ের কাছে জানতে চাইলে বলেন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকায় একজন মহাপরিচালক আছেন সেই ব্যবস্থা নেবেন তার কর্মকর্তাদের ও কর্মচারীদের। জনাব শাহিনা খাতুন ৬ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে মহাপরিচালক হিসেবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার দায়িত্ব নিয়েছেন।দায়িত্বের পরে মুক্তিযোদ্ধাদের কি সংস্কার করলেন তিনি, জামুকার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কি ব্যবস্থা নিলেন, এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক হয়ে সাংবাদিকদের কে উল্টো জবাবে বলেন ১৬ বছর আপনারা কোথায় ছিলেন! কোথায় ছিল আপনাদের এই অভিযোগ। মহাপরিচালক মহোদয় অভিযোগের তারিখ গুলো না দেখেই ভুলভাল বললেন কেন? ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ১:১০ মিনিটের সময় গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী মরিয়ম আক্তার মারিয়া সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মোঃ আব্দুল খালেক অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও ২ টাকার পত্রিকা বলে পত্রিকাটি গায়ে ছুরে মারেন। এই বিষয়টি মহাপরিচালক শাহিনা খাতুনকে জানালে শাহিনা খাতুন একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন!২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং অভিযোগ পেয়ে অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন এবং তার সত্যতা প্রমাণিত হয়। এই বিষয়ে শাহিনা খাতুন সিদ্ধান্তের জন্য কিছুদিন সময় চান সাংবাদিকদের কাছে। এডি আব্দুল খালেকের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শাহিনা খাতুন চেষ্টা করেন বলে জামুকার এক সদস্য থেকে বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে জানা যায়। এবং আরো জানা যায়, ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে নেওয়ার পরে যার যার অবস্থানে ভাগাভাগি হয় যতই তদবির দেয়া হোক না কোন কাজ হবে না টাকা ছাড়া এটাই প্রধান কর্মকর্তার আদেশ। গত ৩ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে জামুকার মহাপরিচালক ও সদস্যরা মোঃ আব্দুল খালেকের বিষয়ে টিভি চ্যানেল, জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, এবং মানবাধিকার কর্মীদের সাথে আলোচনায় বসেন এবং সাংবাদিকদের কে নিশ্চিতভাবে জানান এডি মোঃ আব্দুল খালেকে বরখাস্ত করা হলো। এছাড়াও মোঃ আব্দুল খালেকের হয়ে তারা ক্ষমা চাইলেন। তখনও মহাপরিচালক আবারো উচ্চস্বরে রাগান্বিতভাবে জামুকার সকল সদস্যের সামনে বললেন ১৬ বছর আপনারা কোথায় ছিলেন। জনাব, মহাপরিচালক আপনি যে জামুকার দুর্নীতিবাজদের পক্ষ নিতে চেয়েছেন তারই প্রমাণ ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে গণমাধ্যম মানবাধিকার কর্মী মোঃ মাসুম পারভেজ সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণাদি দেওয়ার পরও মোঃ আব্দুল খালেক ও পিয়ন টিটনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি এবং খালেক কে সাসপেনশনের নামে ৩ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে তদন্তপূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের পরিচালক উন্নয়ন, পরিকল্পনা, এস্টেট ও কল্যাণ জনাব মোহাম্মদ উল্লাহকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করলেন তাহলে কোথায় করলেন সাসপেন্ড মোঃ আব্দুল খালেক কে। এবং তদন্ত কত, কর্ম দিবসে শেষ করবেন তাও লিখেননি এতে কি বুঝায় এটা কি শাক দিয়ে মাছ ডাকা ও ক্ষমতার অপব্যবহার নয় কি। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই হচ্ছে কিন্তু সাংবাদিকরা প্রমাণাদি, দেওয়ার পরও যে সমস্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবস্থা নেওয়া হলো না বা নেওয়া হচ্ছে না তাহলে কিসের যাচাই-বাছাই হচ্ছে রাষ্ট্রের টাকা চলে যাচ্ছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট অথচ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের দাবি অভিযোগ দেওয়ার সাথে সাথেই ভাতা বন্ধ করে দিতে হবে প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত বাঁধা দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রাষ্ট্রের টাকা আর কত আত্মসাৎ করে চলবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার আরো কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামের তালিকা উঠে এসেছে –
১/মোঃ হাফিজুর রহমান, সহকারী পরিচালক
২/হাফিজ আহমদ, কম্পিউটার অপারেটর
৩/মোঃ নুরুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী
৪/শরিফুল ইসলাম, অফিস সহকারি
৫/বিধান
এবার কি ব্যবস্থা নেন মহাপরিচালক সেটাই দেখার অপেক্ষায়।
Leave a Reply