সি: স্টাফ রিপোর্টার সাব্বির হোসেন।#
খুলনা জেলাধীন তেরখাদা উপজেলা ৫ নং সদর ইউনিয়নের চর জয়সেনা পূর্বপাড় গ্রামের, মৃত মকবুল মোল্লার দুই ছেলে, আব্দুর রহমান ভেনু (৩৮)ও মোঃ মিশু মোল্লাকে (৩২) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। মোঃ পান্নু মোল্লা ও তার সাঙ্গোপাঙ্গ দল। জানা যায় এই পান্নু মোল্লা তেরখাদা ৫ নং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তেরখাদা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ওহিদুজ্জামানের আত্মীয় তার পাওয়ারেই চলে। পান্নুর বিরুদ্ধে, গাজা, মদ, ইয়াবা, সহ সকল মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত, এছাড়াও , চোরাচালান, নারী পাচার, খুন গুম ধর্ষণ ইত্যাদি বেআইনি কাজের সাথে লিপ্ত। তার বিরুদ্ধে এখনো খুলনা জজ কোর্টে মামলা চলমান আছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে কার্যক্রম এখনো চালিয়ে যাচ্ছে পান্না। এছাড়াও জানা যায় সে জেল থেকে পলানো ফেরারি আসামি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত 20 বছর আগে মিশু ও আব্দুর রহমান ভেনুর পিতা মৃত মকবুল মোল্লার কাছ থেকে ৪ শতক জমি ১০০ টাকা করে প্রতি শতকে লিস হিসেবে নেন মোঃ হালিম মোল্লা।
এভাবেই পার হয়েছে ২০ বছর, বর্তমানে ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক আব্দুর রহমান ভেন্যু (৩৮) ও মোঃ মিশু মোল্লা (৩২) উভয় পিতা মৃত মকবুল মোল্লা। কিছুদিন আগে আব্দুর রহমান ভেন্যু ও মিশু, হালিম মোল্লাকে বলে , ২০ বছর ধরে ১০০ টাকা করে দিচ্ছেন এখন তো আর ১০০ টাকা করে হয় না আমাদের ১০০ টাকা করে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করে দেন। হালিম মোল্লা (৬৫) বলে আমার ছেলে পান্নু মোল্লা (৩৮) ও স্ত্রী লুসি বেগম (৫৫) এর সাথে কথা বলে জানাবো। বেশ কিছুদিন পর গত ৫/৫/২৫ ইং তারিখে হালিম মোল্লা জানান আমরা টাকা বাড়াতে পারবো না।
তখন মিশু বলে তাহলে জমি ছেড়ে দেন আমাদের জমি আমরাই চাষাবাদ করব, অনেক কথা কাটাকাটির পর হালিম মোল্লা জমি ছাড়তে রাজি হয়। গত ৬/৫/২৫ইং তারিখে হালিম মোল্লা ও তার ছেলে পান্নু মোল্লা। আব্দুর রহমান ভেনু ও মিশু মোল্লাকে জমি বুঝিয়ে দেন এবং পান্নু মোল্লা হুমকি দিয়ে বলে জমি বুঝিয়ে দিলাম যদি পারিস জমি খেয়ে দেখাস কেমন বাপের বেটা।
পরদিন সকালে অর্থাৎ ৭-৫-২০২৫ ইং সকাল আনুমানিক ৭ টার সময় আব্দুর রহমান ভেনু ও মিশু মোল্লা, জমিতে চাষাবাদ করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হয়, জমিতে যাওয়ার রাস্তা, পান্নুদের বাড়ির পাশ দিয়ে বিলে যাওয়ার রাস্তা একই রাস্তা। সেখানে আগে থেকেই প্লান করে উৎ পেতে ছিলো পান্নু ও তার সহযোগীরা। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময়।
১/ পান্নু মোল্লা(৩৮)
২/ হালিম মোল্লা(৬৫)
৩/ ফুল মিয়া মোল্লা (৪১)
৪/ রাজু মোল্লা (২৩)
৫/ রেজা মোল্লা (২০)
৬/রোমান মোল্লা (২৩)
৭/ সজল মোল্লা (২০)
৮/ সালাম মোল্লা (৫৫)
৯/ হানেফ মোল্লা (৫০)
সহ অজ্ঞাত আরো ২০/৩০ জন।
আব্দুর রহমান ভেনু ও মিশু মোল্লাকে ঘেরাও করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাইনিজ কোরাল, ঝাঁপি, ভেলা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল ঘুষি ও কোপাতে থাকে। পান্নু মোল্লা রামদা দিয়ে মিশুর মাথায় কোপ মারলে মিশু সাথে সাথে মাটিতে ঢলে পড়ে। আব্দুর রহমান ভেনু ও মিশুর চিৎকারের আওয়াজ শুনে, তাদের বাড়ি থেকে লোকজন দৌড়ে আসে ঠেকানোর জন্য। তখন পান্নু ও তার বাহিনী তাদেরকেও মারধর শুরু করে।
তখন তারাও প্রাণ বাঁচাতে তাদেরকে ধাওয়া করে শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের লোক, প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের মতো আহত হয়, তবে মিশু ও আব্দুল রহমান ভেন্যুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার খবর পেয়ে তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মেহেদী হাসান সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ৫ জনের একটি পুলিশের টিম সারাদিন সেখানে ডিউটিতে থাকে।
এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য তেরখাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান, সেখান থেকে চিকিৎসক পরামর্শ দেয় খুলনা নিয়ে যেতে, বর্তমান সবাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
Leave a Reply