মকবুল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা এলাকা হতে বরগুনা জেলার সদর থানার প্রতারনা (বিজ্ঞ আদালতের ভূয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা তৈরী ) মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।
বরগুনা জেলার সদর থানায় বাদী মোঃ মুসলেম উদ্দিন (৪৫), পিতা-মৃত শরাফত আলী, সাং- মাগুড়জোড়া (উজানপাড়া ইটভাটার সাথে), থানা- ত্রিশাল, জেলা- ময়মনসিংহ এর দায়েরকৃত এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ১ নং আসামী মোঃ আঃ মান্নান (৪৮) সহ অন্যান্য আসামীদ্বয় দুষ্কৃতিকারী ও প্রতারক প্রকৃতির লোক। তারা মানুষকে হয়রানী করার জন্য নিজেরাই ভূয়া গ্রেফতারী পরোয়ানা তৈরী করে বিভিন্ন জেলাসহ থানার মামলা উল্লেখ করে থানায় প্রেরণ করে থাকে। আসামীদ্বয় ২০১৭ সালে নিজে গ্রেফতারী পরোয়ানা তৈরী করিয়া উক্ত মামলায় অস্ত্র আইনের ধারা ও নারী শিশু মামলার ধারা এবং ডাকাতি মামলার ধারা উল্লেখ করে বাদীকে হাজতবাস করায়। এছাড়াও ১নং সাক্ষী আতাহারকে একই ভাবে ভূয়া গ্রেফতারী পরোয়ানা তৈরী করে হাজত বাস করায়। পরবর্তীতে পুনরায় বাদী মোঃ মুসলেম উদ্দিন (৪৫)’কে বরগুনা সদর থানার মামলা নং-৪১ তারিখ-২১/০৯/২০১৮ খ্রিঃ ধারা-১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ৪/৫/৬, জিআর-৬৫২/১৮ (বরগুনা) মূলে প্রতারক চক্র পরস্পর যোগসাজসে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে* প্রতারনা পূর্বক ০৮ (আট) দিন হাজত বাস করান। হাজত থেকে বের হয়ে বাদী উক্ত মামলা সংক্রান্তে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, উক্ত মামলায় তিনি কোন আসামী নয়। পরবর্তীতে বিবাদী বরগুনা জেলার সদর থানায় উক্ত প্রতারক চক্রের বিরেুদ্ধে একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-০৫, তারিখ: ০২/০২/২০২৫খ্রি. ধারা-৪৬৬/৪৭৩/৪৭৪/৪২০/১০৯ পেনাল কোড ১৮৬০। ঘটনার পর সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, অধিনায়ক, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ এর নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সামসুজ্জামান, কোম্পানি কমান্ডার সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ২৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. রাত অনুমান ০২:০০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বরগুনা জেলার সদর থানার প্রতারনা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোঃ আঃ মান্নান (৪৮)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি‘কে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply