মোঃ মোবারক হোসেন নাদিম, স্টাফ রিপোর্টার
বরিশাল থেকেই যখন কাফরুল থানার গনধর্ষণ মামলায় এক নাম্বার আসামি হয়ে যায় জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ সাইফুল্লাহ। তার বড় প্রমাণ হলো ফেব্রুয়ারি মাসের দুই তারিখ বিকাল ৪ টা থেকে তিন তারিখ সকাল সাড়ে আটটা। মিথ্যা মামলা এবং সময়ের অসঙ্গতির কারনে প্রকাশ পায় সাজানো মামলার আসল নাটক। ঘটনার দিন মামলার এক নাম্বার আসামি আসলে পটুয়াখালী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটা ১০৭ ধারা মামলার বাদী হিসেবে হাজিরা দিয়েছেন যাহার সারটিফাই কপি উপস্থাপন করা হয় কাফরুল থানার ওসি তদন্ত রুবেল মল্লিক এর কাছে এছাড়া ভিকটিম এর সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত, দৈনিক আমার বার্তা দৈনিক সকালের সময় এবং দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকায়। তখন থেকেই মামলার মোর ঘুরে যায় ভিন্নখাতে। তাহলে প্রশ্ন হলো এই গনধর্ষণ মামলায় সাংবাদিক সাইফুল্লাহ কিভাবে তার এন আইডি কার্ড অনুযায়ী নাম ঠিকানা হয়ে গেলো বরিশাল থেকেই কাফরুল থানার গনধর্ষণ মামলার এক নাম্বার আসামি। ফেব্রুয়ারি মাসের উনিশ তারিখ সাইফুল্লাহ এর নারী বান্ধবী আফরোজা আক্তার ছদ্মনাম আঁখি পিতা আলাউদ্দিন মোল্লা মাতা নুরবানু গ্রাম লাদুরচর টিটি বাড়ি নোয়াগাঁও অথবা মহজমপুর সোনারগাঁও নারায়নগঞ্জ এর সাথে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রায় তিন বছর যাবৎ বিরোধ চলছিল এই বিষয়ে উক্ত বিরোধ আদালতে বিচারাধীন।
এখন আফরোজা আক্তার ছদ্মনাম আঁখি বুঝতে পারে যে মামলায় তার সাজা হবে তখন থেকে সে সাইফুল্লাহ এর নামে বিভিন্ন জেলায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে সাইফুল্লাহকে হয়রানি করা শুরু করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাইফুল্লাহ তার সঠিক তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে যায়। ইতিমধ্যে আফরোজা বুঝতে পারে এভাবে হবে না তাহলে হয়তো প্রশাসনের কোনো লোক কিংবা কোনো আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে সাংবাদিক সাইফুল্লাহ কে সামাজিক ও মানসিক চাপে ফালানোর জন্য আফরোজা আক্তার আঁখি এর পূর্ব পরিচিত একটা খারাপ চরিত্রের মেয়েকে দিয়ে গনধর্ষণ মামলার মতো একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনার মামলায় এক নাম্বার আসামি করে।
এছাড়া বাংলাদেশে মিথ্যা গনধর্ষণ মামলা দায়ের করা হলে প্রথমে বাদী একটা সুবিধা লাভ করে আফরোজা আক্তার ছদ্মনাম আঁখি সেও এই মামলায় সাইফুল্লাহ কে আসামি করে একটা ফায়দা নিতে চেয়েছিল। দুর্ভাগ্য তাদের। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন মিডিয়ায় যখন এক নাম্বার আসামি সাক্ষাৎকার দেয় এছাড়া আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসে যে মিথ্যা কখনও সত্যের কাছে জয় পায় না। তখন থেকেই তারা কাফরুল থানার ওসি তদন্ত রুবেল মল্লিক এবং ওসি এদের বিরুদ্ধে আসামি না ধরার অভিযোগ তুলে। মিথ্যা মামলার আসামি এবং কাফরুল থানার পুলিশ প্রশাসন উভয়েই যেন মিথ্যা মামলার বাদীর কাছে ধরাশায়ী।এক নাম্বার আসামির সিডি আর, হোটেলের সিসি ফুটেজ এবং পটুয়াখালী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বাদীর হাজিরার সারটিফাই কপি সব মিলিয়ে দেখা যায় সে আদৌ এখানে ছিল না। এছাড়া এক নাম্বার আসামি নিজেই তার যত ডকুমেন্ট আছে সব প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ পাঠিয়ে দিয়ে তাদের সাথে ফোনে কথা বলেন।
এমতাবস্থায় উক্ত মামলার তদন্ত কি কারণে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ন্যস্ত করা হয়েছে জানা নাই। ইতিমধ্যে মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী আফরোজা আক্তার আঁখি সাংবাদিক সাইফুল্লাহ কে টার্গেট করে পুলিশ সদর দপ্তরে দরখাস্ত করে এছাড়া Rab সদর দপ্তরে অভিযোগ দেয় তখন মামলার অগ্রগতি বিষয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার বরাবর কাফরুল থানার ওসি তদন্ত একটা প্রতিবেদন পাঠায় যেখানে এক নাম্বার আসামি সাইফুল্লাহর এর বিষয়ে পর্যালোচনা করে এবং তার ডকুমেন্ট অনুলিপি সাবমিট করে যে আসলে এক নাম্বার আসামি এখানে জড়িত না অনুলিপি Rab সদর দপ্তরেও প্রেরন করে।যার তথ্য ভিত্তিক একটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইংরেজী দৈনিক ডেইলি সান পত্রিকায়।
এতকিছুর পরেও সাংবাদিক সাইফুল্লাহ এর বান্ধবী আফরোজা আক্তার আঁখি পুনরায় সাইফুল্লাহ কে হয়রানি করার জন্য নতুন ভাবে পুলিশ সদরদপ্তরে আবেদন করে। সেখানে সাংবাদিক সাইফুল্লাহ, তার স্ত্রী নাজমা বেগম এবং সাইফুল্লাহ এর আইনজীবী ক্লার্ক ঢাকা বার মোঃ রোকনকে বিবাদী করা হয়।সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীকে দারুস সালাম জোনের এসি অফিস থেকে আগামী ২৩/৪/২৫ তারিখ দেখা করতে বলে। শুধু মৌখিক বলেন অভিযোগ এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আসতে হবে। এখন সাংবাদিক সাইফুল্লাহ দেশের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা,, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশ প্রধান অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন। এবং যারা বিভিন্ন ভাবে সাংবাদিক সাইফুল্লাহ কে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছেন।
এছাড়াও এই আফরোজা আক্তার ছদ্মনাম আঁখি চক্রের সাথে আরো কিছু প্রতারক চক্রের সদস্য জড়িত তারা হলেন আবুল হোসেন সবুজ সায়েদাবাদ জনপথ মোর আল হায়াত আবাসিক হোটেলের মালিক, সাইদুল ওরফে সগীর হোসেন সাবেক পপুলার আবাসিক হোটেল বর্তমানে প্রজাপতি আবাসিক হোটেল যাত্রাবাড়ি শহীদ ফারুক সড়ক, নান্টু ওরফে সুমন দালাল সোনার গাঁও নারায়নগঞ্জ, সোহেল সরকার ওরফে গোল্ডেন আলী, সাজ্জাদ,জাবেল পাপন, সালাম, সুমন, মামুন, সাদ্দাম,রনি , নাসরিন, আলমগীর হোসেন সেলিম, আলামিন কুয়েত প্রবাসী বর্তমানে আফরোজা আক্তার ছদ্মনাম আঁখি এর কথিত স্বামী পরিচয় দানকারী এভাবে আরো অনেক। এদের মধ্যে কেউ নিজেকে ডিবির ক্যাশিয়ার পরিচয় দেয় আবার ডিবির এস আই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করে।
আশা করি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবেন নিরীহ মানুষ কে এই চক্রের হাত থেকে মুক্ত করবেন এবং ভবিষ্যতে যেন এই আফরোজা আক্তার আঁখি চক্রের মিথ্যা মামলা প্রবনতার সাহস যেন না পায় এটাই ভুক্তভোগীদের দাবী।
Leave a Reply