মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ সাংবাদিক নেএকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ মডেল মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ মো. সাইদুর রহমানের (৩২) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের আলোকদিয়া সেতুর পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাইদুর রহমান বারহাট্টা উপজেলার ধারাম গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে মোহনগঞ্জ মডেল মসজিদে সহকারী ইমাম পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে মডেল মসজিদের ইমামসহ আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আলোকদিয়া সেতু সংলগ্ন চা দোকানে চা খাওয়ার জন্য যান সাইদুর। চা খাওয়া শেষে অন্যরা চলে গেলে তিনিও রওনা হওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে উঠেন। এমন সময় ৮/১০ জন যুবক সাইদুরের ওপর হামলা চালায়। তাকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে কিল-ঘুষি মেরে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে তাদের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে দৌড়ে পালান। তবে তার মোটরসাইকেল ও চাবি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে উপস্থিত লোকজন তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ভুক্তভোগী সাইদুর রহমান বলেন, হামলাকারীদের একজনকে আমি চিনতে পেরেছি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে ইলিয়াস হোসাইন আরাবী (২৮) ও মেহেদী হাসান (২২) সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামী করে অভিযোগ করেন। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালে থাকা সহকারী ইমামের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য এসআই রবিউল আওয়ালকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে আজ বেলা ১১ ঘটিকায় মোহনগঞ্জ বড়মসজিদে হেফাজতে ইসলামের এক সভা মাওলানা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, আলেম উলামাগন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। বিকেলে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাক্ষাৎ করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহবান জানান।
Leave a Reply