হাকিকুল ইসলাম খোকন,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পাঁচ বারের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া শেখ হাসিনাকে সসম্মানে ক্ষমতায় ফিরিয়েই বঙ্গবন্ধু হত্যার চরম প্রতিশোধ নেয়া সম্ভব
বক্তব্য রাখছেন গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ ।বঙ্গবন্ধুর ঘাতক ও তাদের দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের মধ্যদিয়েই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আত্মার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যাবে। এমন সংকল্প ব্যক্ত করা হয় নিউইয়র্কের বাংগালি অধ্যষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে গত শনিবার,২০ ডিসেম্বর ২০২৫, সন্ধ্যায় ‘৫৪তম মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটারন্স-১৯৭১’ ইউএসএ “র সমাবেশ থেকে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্যদিয়ে শুরু এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হোস্ট সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ।খবর আইবিএননিউজ ।এ সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ,সহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। ১৬ ডিসেম্বর নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিক-সামাজিক ভাবে প্রতিহত করার প্রত্যয় নিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয় ।এর আগে বিজয় সমাবেশের প্রেক্ষাপট উপস্থাপন এবং মহাম বিজয় দিবসের ৫৪তম সমাবেশে পরিচালনা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কলামিস্ট এবং সাংবাদিক খুরশিদ আনোয়ার বাবলু ।
শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার্ ভেটের্যান্স ১৯৭১ ইউএসএ‘র সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শাহীদ, ২ লাখ মা, বোনের অসামান্য অবদান, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, জেলহত্যাকান্ডের শিকার জাতীয় চার নেতা,৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন ,”৭১-এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণসহ আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মাহুতি প্রদানকারিগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
বিজয় দিবসে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় আরোও অংশ নেন সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক ও লায়ন হাকিকুল ইসলাম খোকন,দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা,কৃষিবিদ ও কলামিস্ট মকবুল হোসেন তালুকদার,বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার চুন্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল আনসারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন হিরু ভূইয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান সিকদার,আওয়ামী লীগনেতা কাজল মাহমুদ,আওয়ামী লীগনেতা শরীফ কামরুল আলম হিরা,হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নিউইয়র্ক শাখার সভাপতি এডভোকেট জাকির এইচ মিয়া,সাংবাদিক হেলাল মাহমুদ,সাংবাদিক মুজাহিদ আনসারী,সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রকৌশলী সাবিনা হাই উর্মি,বীর মুক্তিযুদ্ধা ও কবি অবিনাশ আচার্য,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি সৈয়দ হাসমত আলী,গন জাগরন মন্চের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ জাকির হোসেন রনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মেদ ওয়ালী উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম,বাঙালীয়ানা’র সম্পাদক সাগর লোহানী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার আহবায়ক মিথুন আহমেদ, অধ্যাপক হুসনে আরা , চলচিত্রকার রওশন আরা সাথী,সংবাদ কর্মী সনজীবন কুমার,নুক কানিজ ফাতিমা,টি মোল্লা,মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন সাংবাদিক ড. সেলিনা আফরিন রিতা,বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ আব্দুর রহমান । কবিতা আবৃতি করেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী নিউইয়র্ক শাখার সভাপতি ক্লারা রোজারিও সঙ্গীত পরিবেশন ও কবিতা পাঠে অংশ গ্রহন করেন আল আমিন বাবু,হাসানআল আব্দুল্লাহ,রাজিব ভট্টাচার্য্য,গোপন সাহা প্রমুখ।
সভায় বক্তাগন বলেন,মুক্তিযুদ্ধের অস্তিত্বের প্রতীক, আত্মমর্যাদার স্মারক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, ছায়ানট-এর ওপর সংঘটিত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের প্রতিবাদ করেন।
বিজয়ের মাসকে স্মরণ করিয়ে বক্তারা বলেন,আমাদের স্বাধীনতা কোটি মানুষের রক্তের বিনিময়ে কেনা। তাই এই দিনে জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে সকল শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং আত্মদানকারী বীরদের।
বক্তরা আরও বলেন,একাত্তরের ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মুক্তির সংগ্রাম ছিল মূলত একটি নিরস্ত্র জাতির টিকে থাকার লড়াই, গণতন্ত্র ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। পাকিস্তানি সামরিক জান্তার শোষণ, নিপীড়ন এবং বঞ্চনার প্রতিবাদে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
বক্তারা বলেন,বিজয় অর্জনের এই পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। দীর্ঘ নয় মাস ধরে চলা যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হন এবং সম্ভ্রম হারান লক্ষ লক্ষ মা-বোন। অসংখ্য ঘর-বাড়ি, জনপদ ধ্বংস হয়েছিল। এই যুদ্ধ ছিল একদিকে যেমন চরম বর্বরতার সাক্ষী, তেমনি অন্যদিকে বাঙালি জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মহাকাব্য।এতে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন,যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোঃবখতিয়ার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক সিরাজুল ইসলাম সরকার,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজেম হোসেন মাসুদ,আওয়ামী লীগনেএী রিনা আবেদীন,আওয়ামী লীগনেতা আবু মুসা,মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমানা আক্তার ,হামায়ুন কবির ঢালী,যুক্তরাষ্ট্র ছাএলীগের সাবেক সভাপতি জেড এ জয়, ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া,শরীফা বেগম,শামীমা ইয়াসমীন,আবদুল খালেক,বদরুল ইসলাম,কামাল পাশা,শেফালী রৌশন, হুমায়ুন করির,আবদুর রহমান,জাহিদুল ইসলাম,আবদুর রহমান মিয়া,মাসুদ আহমেদ,আনিচঊজজামান,কেএম ফজলুল হক,মমতাজ উদ্দিন আহমেদ,নুরুল হক,গোলজার হোসেন,আশরাফ আলী,নাজনীন সুলতানা,মাফুজা খানম,নাজিম ঊদ্দিন ,সৈয়দ মিজানুর রহমান,তুষার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃহাসান প্রমুখ ।৫৪তম বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংকৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ।
Leave a Reply