হাকিকুল ইসলাম খোকন,
নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায় রচনা করলেন জুমানে ডি. উইলিয়ামস, যিনি ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত প্রগতিশীল রাজনীতিক হিসেবে নগরবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। খবর আইবিএননিউজ ।৪ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক সিটির সাধারণ নির্বাচনে ‘মিস্টার ক্যারিবিয়ান’ নামে পরিচিত জুমানি উইলিয়ামসের বিজয়ে নিউইয়র্কজুড়ে উদযাপন শুরু হয়েছে, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ, লাতিনো ও অভিবাসী কমিউনিটিগুলোর মধ্যে। নির্বাচনে তিনি ৯৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোটের ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান গনজালো ডুরান পেয়েছেন ৪ লাখ ১৮ হাজার ৩৮৬ ভোট।
জুমানি উইলিয়ামস প্রথমবার পাবলিক অ্যাডভোকেট নির্বাচিত হন ২০১৯ সালে। এরপর তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টা, পুলিশি জবাবদিহিতা, আবাসন সংকট মোকাবিলা, শিক্ষায় সমতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বিস্তারে কার্যকর ভূমিকার কারণে তিনি দ্রুত নিউইয়র্কবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নেন। এবারের নির্বাচনে তাঁর বিজয় প্রমাণ করে, নগরবাসী এখনও সেই দৃঢ় নেতৃত্বেই আস্থা রাখছে, যে নেতৃত্ব অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ, কিন্তু জনগণের সেবায় নিবেদিত।
জুমানি উইলিয়ামস বলেন, এই শহরের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষত যারা প্রান্তিক ও অবহেলিত, তাদের অধিকার, মর্যাদা ও ভবিষ্যতের জন্য আমি লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা কেবল প্রতিবাদ নয়, প্রস্তাব দিচ্ছি, একটি আরও ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নিউইয়র্ক গড়ার।
উল্লেখ্য, পাবলিক অ্যাডভোকেট হিসেবে তাঁর দায়িত্ব হচ্ছে সিটির বিভিন্ন দপ্তরের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, নাগরিকদের অভিযোগ ও সমস্যার নিরসনে সোচ্চার থাকা, এবং আইনসভায় প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে নীতিগত পরিবর্তন সাধন করা। নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নির্বাচিত পদ হিসেবে এই পদের গুরুত্ব অত্যন্ত গভীর।
জুমানি উইলিয়ামসের বিজয় শুধু একজন নেতার বিজয় নয়, বরং নিউইয়র্ক সিটির বহুসাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকার এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ সহনশীল নগর গঠনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
Leave a Reply