ঠাকুরগাঁও শহরের দিনাজপুর–পঞ্চগড় মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে ৩৬ জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের পাশে এক অসহায় ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তার একটি ছবি।
ঘটনাটি জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানার নজরে আসার পরপরই তিনি দ্রুত মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
পরে প্রশাসনের উদ্যোগে ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তার নাম মো. আনিছুর, পিতা ফজির, ঠিকানা পূর্ব গোয়ালপাড়া, ঠাকুরগাঁও সদর, ঠাকুরগাঁও।
৩০ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মাঠ প্রশাসনের সহযোগিতায় আনিছুরকে খুঁজে বের করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে খাবার ও পোশাক সরবরাহ করা হয়।

এ সময় জানা যায়,তার একমাত্র ভাই ছাড়া আর কোনো স্বজন নেই এবং ভাইও সীমিত আয়ের কারণে অভাব–অনটনের মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
পরবর্তীতে ১ অক্টোবর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনিছুরকে প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে খাবার ও কাপড় প্রদান করা হয়। পরে ১৪ অক্টোবর তার ভাইয়ের বাসায় তাকে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে এক মাসের খাবার সরবরাহ করা হয়।
এছাড়া আনিছুরের থাকার জন্য ভাইয়ের ঘর মেরামতের উদ্দেশ্যে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ঢেউটিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা শুধু তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েই থেমে থাকেননি, বরং দীর্ঘমেয়াদি সহায়তার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলার বয়স্ক ও দুস্থ মানুষদের জন্য স্থায়ীভাবে খাবার, কাপড় ও ওষুধের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারি।সেখানে আনিছুরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। উল্লেখ্য,ইতোমধ্যে দৃশ্যমান কিছু মানবিক পদক্ষেপের ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।
Leave a Reply