হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজঃ ব্রেন্ট আরনল্ড ক্রিস্টেনসেন একজন অভিজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক, যিনি পররাষ্ট্র দপ্তরে ৩০ বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৫ সালে পররাষ্ট্র দপ্তরে যোগদানের মাধ্যমে, এবং তিনি বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। খবর আইবিএননিউজ।
ওয়াশিংটন, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন যদি সিনেটের অনুমোদন প্রাপ্ত হয়, তাহলে তিনি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
ক্রিস্টেনসেনের দীর্ঘ কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদ শূন্য অবস্থায় রয়েছে, এবং এই অনুমোদনের পর ক্রিস্টেনসেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে ফোকাস করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেছেন, “ক্রিস্টেনসেনের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করব।”
ব্রেন্ট আরনল্ড ক্রিস্টেনসেন একজন অভিজ্ঞ মার্কিন কূটনীতিক, যিনি পররাষ্ট্র দপ্তরে ৩০ বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৫ সালে পররাষ্ট্র দপ্তরে যোগদানের মাধ্যমে, এবং তিনি বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে ব্রেন্ট আরনল্ড ক্রিস্টেনসেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০১৩-২০১৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি ইবোলা মহামারীর মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেন, যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়। তাঁর নেতৃত্বে মার্কিন সাহায্য প্রোগ্রাম চালু হয়, যা সিয়েরা লিওনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এছাড়া, তিনি দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারে সহায়তা প্রদান করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে ব্রেন্ট আরনল্ড ক্রিস্টেনসেন কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০১৮-২০২১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর দায়িত্বকালে তিনি নার্কোটিক্স বিরোধী অভিযান, অভিবাসন সমস্যা এবং বাণিজ্য চুক্তির উপর জোর দেন। বিশেষ করে, কলম্বিয়ার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্ল্যান কলম্বিয়া’ প্রোগ্রামকে তিনি সফলভাবে এগিয়ে নেন, যা সন্ত্রাসবাদ দমন এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। এই পদে তাঁর কাজের জন্য তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘সুপিরিয়র অনার সার্টিফিকেট’ পুরস্কার লাভ করেন।
ব্রেন্ট আরনল্ড ক্রিস্টেনসেন কর্মজীবনের প্রথম দিকে তিনি ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডে সেবা প্রদান করেন, যেখানে তিনি রাজনৈতিক বিষয়াবলী এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের উপর কাজ করেন।
পরবর্তীকালে, তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক ব্যুরো’তে ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (২০১১-২০১৩), যেখানে তিনি এশিয়ান অঞ্চলের কৌশলগত বিষয়গুলো পরিচালনা করেন।
Leave a Reply