বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদি খান ৪নং কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেবাশিষ অধিকারকে বিক্রমপুর হ্যাভেন সিটির নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স ও একটি ইনোসি জোরপূর্বক নেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে বিএনপির নেতা নাদিম গংদের বিরুদ্ধে। এতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন ৪নং কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের ঐ সচিব।
সচিব বলেন, গত ১৫ ই জুন মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক প্রিন্স নাদিম ও সিরাজদিখান থানা ছাত্রদলের সভাপতি সাফকাত হোসাইন রকি, একই এলাকার মোঃ জামাল ভূইয়ার ছেলে মোঃ আসলাম ভূইয়া,সাধু মিয়ার ছেলে মোঃ মানিক শেখ গংরা এসে আমাকে জোরপূর্বক বিক্রমপুর হ্যাভেন সিটির নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স ও একটি ইনোসি দিতে বলেন। এতে সচিব ট্রেড লাইসেন্স দিলেও ইনোসি দিতে চেয়ারম্যানকে অবগত করলে, প্রিন্স নাদিম ও রকি গংরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাপক গাল মন্দ করেন এসময় উভয় পক্ষের মাঝে বাক বিতন্ডের সৃষ্টি হয়।
এক সময় বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েলে ঐ এলাকার চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান,বিক্রমপুর হ্যাভেন সিটির নামে নতুন একটি কোম্পানীর ট্রেড লাইসেন্স ও ইনোসি নাদিম গংরা জোরপূর্বক ভাবে নিতে গিয়েই এই ঘটনাটি ঘটেছে একটি কোম্পানি করতে যে সকল কাগজ পত্রের দরকার তা নাদিমগংদের নাই সচিব সকল কাগজপত্র চাইতে গেলেই উভয় পক্ষের মাঝে দ্বন্দের সৃষ্টি হয় এক সময় ইউনিয়ন পরিষদে গন্ডগোল বেঁধে যায়, ঐসময় প্রায় তিন ঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবা থেকে সাধারণ জনগণ বঞ্চিত হয় বলে তারা জানান।
তারা আরও জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক প্রিন্স নাদিম ও সিরাজদিখান থানা ছাত্রদলের সভাপতি সাফকাত হোসাইন রকি, একই এলাকার মোঃ জামাল ভূইয়ার ছেলে মোঃ আসলাম ভূইয়া,সাধু মিয়ার ছেলে মোঃ মানিক শেখ গংরা দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকায় মাদক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে হামলা মামলা চাঁদাবাজি করে থাকেন তারা। তাদের ভয়ে এলাকার অনেকেই মুখ খুলতে ভয় পায়, ইতিপূর্বে ও তার আপন ছোট ভাই সহ প্রায় ২৬/২৭টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে এই নাদিম গ্রুপদের বিরুদ্ধে। যা লোকাল থানা অবগত আছেন। এবং তা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ব্যাপক ভাবে প্রকাশিত হয়,
নাদিম গংরা পেশী শক্তির বলে লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে এই এলাকায় একক রাজত্ব কায়েম করে আসছেন, এলাকার জনসাধারণের জোরপূর্ব জমি দখল থেকে শুরু করে এমন কোন কাজ নাই যে তারা করেন না, সকল ধরনের অপকর্ম সাথে এই বাহিনী লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমিদস্যু থেকে শুরু করে সকল কাজে লিপ্ত রয়েছে নাদিম গুরুপ।
অপরদিকে বিএনপি’র এই নেতা নাদিম বলেন এ সকল মিথ্যা অভিযোগ ও বানোয়াট ঐখানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার সাথে ৪নং কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেবাশীষ দীর্ঘক্ষণ অফিসিয়াল কাজকর্ম ছেড়ে তাকে সময় দেন আমরা আমাদের ট্রেড লাইসেন্স ও ইনোসির সরকারি ফি জমা দিয়ে তাকে দ্রুত কাজ শেষ করে দিতে বললে উভয় পক্ষের মাঝে ভুল বোঝা বুঝির সৃষ্টি হয়ঐসময় ৩য় কোন পক্ষ আমাদেরকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য ফেক আইডি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল করে যা সত্য না।
অন্য দিকে সিরাজদি খান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহেদ আল মামুন বলেন এরকম কোন ঘটনা আমার চোখে পড়ে নাই বা কেউ আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ যদি আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতাম,তবে বিক্রমপুর হ্যাভেন সিটি নামে একটি সাইনবোর্ড কয়েকদিন আগে এখানে নাদিম গ্রুপের লোকজন লাগিয়ে দেয়,সাইনবোর্ডকে কেন্দ্র করে বাতায়ন সিটি ও বিক্রমপুর হ্যাভেন সিটির লোকজনের উভয় পক্ষের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয় এটা আমি শুনেছি।
অপরদিকে থানা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার জানান,এ ব্যাপারে আমাকে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেন নাই আমি ওসি সাহেবের কাছে শুনেছি। আমি জানি ও না কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জানান এই নাদিম গ্রুপরা অল্প কিছুদিন যাবৎ থানা কমিটি সহ বিভিন্ন পদ পদবী পেয়েছেন,পদ পেয়েই তারা একের পর এক বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন এসব যদি চলতে থাকে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত ঘটনাটি জানাজানি হয় তাহলে তাদের পদ পদবীর সমস্যা হবে। এ ঘটনায় ঐলাকায় জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply