আসাদ উল্লাহ
বৃষ্টির শব্দের মতো সুরের লহরী, লাবণ্যের আভা
ভাসে সাজানো শোভন বাগান বৃক্ষ-লতা, সবুজ গাঁও।
বুকের গভীরে বানাই চৌচালা টিনের ঘর, ময়ূর পেখম
ঘরের জন্য যা যা প্রয়োজন- বারান্দা, টবের হাসি
পদ্মিনী নারী, ঘন মেঘ খোঁপায় কারোকার্যের কাঁটা,
শিশুর মসৃন গোড়ালি, কোমল পায়ের পাতার মতো-
বৃষ্টির রিমঝিম জমে উঠে টিনের চালে।
জানালা বরাবর সুগন্ধী বাতাবি লেবুর গাছ-
কিছুটা চঞ্চল কিছুটা লাজুক প্রেমিকার মতো
উজালা সুবাসে হাসে মুখোমুখি যুগোল পাখি।
সুরে সুরে খেলা করে ধানের ক্ষেত, গাভীর স্ফীতকায় ওলান
দিঘির জলে পদ্মপাতার ফাঁকে উতলা হংস-মিথুন।
একটি কাতল মাছ কিছুটা ভেসে জলে ঘাই মারে
সুরে কতো কিছু হয়, জানে না তা বাউল উদাসী।
আমরা কেবল মিছিমিছি আপ্লুত হই সোনালি সুরে
মিছিমিছি চাঁদ উঠে, জোয়ার আসে আমাদের উঠোনে।
Leave a Reply