ইমন রহমান, নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানাধীন হিরণপুর ও জিগাতলার দুইটি বসত বাড়িতে সংগঠিত দুর্ধর্ষ কুলেস ডাকাতি মামলার আন্তঃজেলার ডাকাত দলের ০২ (দুই) সদস্য জেলা গোয়েন্দা শাখা নেত্রকোণা কর্তৃক গ্রেফতার।
গত ২১/১২/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০২:৩০ ঘটিকা হইতে ০৪.৩০ ঘটিকায় নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানাধীন জিগাতলা ও হীরণপুর গ্রামে দুইটি বসত বাড়িতে জানালার গ্রীলের রড কেটে অজ্ঞাতনামা ০৮/০৯ ডাকাত দেশীয় অস্ত্র সন্ত্রসহ প্রবেশ করে উভয় বাড়ির সকল সদস্যদের হাত পা বেধে ওয়্যারড্রপ, আলমারীর, ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারের ভিতর থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কয়েকটি মোবাইল ফোন সহ সর্বমোট অনুমান ৫৯.১৭.০০০/-(উনষাট লক্ষ সতের হাজার) টাকার মালামাল নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে পূর্বধলা থানার মামলা নং-২৩, তারিখ-২১/০১/২০২৫ খ্রিঃ ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু হয়।
উক্ত অপরাধে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে জনাব মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম, পুলিশ সুপার, নেত্রকোণা জেলা মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও জেলা গেয়েন্দা শাখার অফিসার-ইনচার্জ পূর্ব জনাব সায়েদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) নেত্রকোণা জেলার নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল ডিএমপি ঢাকাস্থ যাত্রাবাড়ি থানা এলাকায় এবং মতিঝিল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অত্র ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত আসামী ১। মোঃ কামরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (৩৭), পিতা-মৃত ছামছদ্দিন, মাতা-মোছাঃ আনেছা বিবি, সাং-ভাটরা, ডাকঘর-সিহালী, থানা-শিবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া এবং ২। মোঃ আলমগীর হোসেন (৩৩), পিতা-মৃত জামাল উদ্দিন, মাতা-মোছাঃ জাহানারা বেগম, সাং-বেরবাড়ী, ডাকঘর-ধুলিহর, থানা-সাতক্ষীরা সদর, জেলা-সাতক্ষীরাদ্বয়কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী কামরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ এবং আলমগীর হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অত্র মামলার ডাকাতি ঘটনা সংঘটনের কথা স্বীকার করে এবং মামলার তদন্ত সহায়ক অন্যান্য তথ্যাদি প্রকাশ করে। আসামীদের উপস্থাপন মতে উভয় ডাকাতির ঘটনার কাজে ব্যবহৃত ০২ (দুই) টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ০৩ (তিন) টি বাটন ফোন, ০২ (দুই) টি কাঠের হাতলযুক্ত দেশীয় দা, ০১ (এক) টি রিবার কাটার, ০১ (এক) টি স্টিল কাটার, ০১ (এক) টি পাইপ কাটার, ০৩ (তিন) টি ড্রাইভার, ০৩ (তিনটি) রেঞ্চ, ০১ (এক) টি সনি ডিজিটাল ক্যামেরা, ০১ (এক) টি রাউটার, ০১ (এক) টি মাংকী টুপি, ডাকাতি সরঞ্জামাদি বহনের ০১ (এক) টি কাঁধ ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
ধৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামী কামরুল ইসলাম নিজের দোষ স্বীকার করে কার্যবিধি ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। অত্র মামলার পলাতক অপর আসামীদের গ্রেফতার সহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply